
মেহেরপুরে তামাক কোম্পানির লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে হাজারো কৃষক এখন পড়েছেন গভীর আর্থিক সংকটে। সাধারণত যেসব জমির বাৎসরিক লিজ ৬-৭ হাজার টাকা, তামাক চাষের জন্য সেসব জমি ২৫-৩০ হাজার টাকায় লিজ নিচ্ছেন গরিব কৃষকরা। এর ওপর সার, সেচ, কীটনাশক, জ্বালানি, খড়ি ও পরিবহনসহ বিঘাপ্রতি মোট খরচ দাঁড়াচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
তবে উৎপাদনের পর বড় বিপাকে পড়ছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে, তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই বেশি তামাক কিনছে। ফলে অনেক কৃষকের পাকা তামাকও অবিক্রিত থাকছে। গত বছর যেখানে এক ঘর তামাক (২৫০ বাতা) ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার তা ৪৫ হাজারেও বিক্রি হচ্ছে না।
বিশেষ করে গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী, তেঁতুলবাড়ীয়া, কাথুলী, ভোমরদহ, দুর্লভপুরসহ অন্তত ২০টির বেশি গ্রামে তামাক চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। রমজান থেকে শুরু হওয়া মৌসুমে এখন চলছে তামাক পোড়ানোর ধুম। পরিবারের নারী ও শিশুরাও এতে দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন। অথচ নেই কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি তামাকঘরে আগুন লেগে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ শুধু ‘তামাকমুক্ত দিবস’ এলেই কিছু আলোচনা করে দায় সারে। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, কিছু এলাকায় বিকল্প ফসলের ওপর অবহিতকরণ সভা হয়েছে।