Dhaka 4:52 am, Wednesday, 18 June 2025
২৫ কিলোমিটার জট, বৃষ্টি ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি

যমুনা সেতুতে যানজট, ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে

ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে সেতুর পূর্ব প্রান্তে শুরু হওয়া যানজট রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্তও স্বাভাবিক হয়নি। ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ যানজট ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে দিয়েছে।

যানজটে আটকে থাকা মানুষদের মধ্যে খোলা ট্রাক, পিকআপ এবং মোটরসাইকেলের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে যাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

গার্মেন্টস কর্মী সালাউদ্দিন মিয়া জানান, “সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার গাজীপুর থেকে ট্রাকে উঠি, বিকেল ৩টায় এলেঙ্গা পৌঁছেছি।”

আরেক যাত্রী মল্লিকা খাতুন বলেন, “সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে বাসে উঠেছি, এখন (বিকেল আড়াইটা) এলেঙ্গার পৌলী পর্যন্ত এসেছি।”

একই অভিজ্ঞতা মামুন নামের এক যাত্রীর, “পিকআপে কাগজ ঢেকে যাচ্ছি, কিছু করার নেই।”

এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “মহাসড়কে ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। কোথাও থেমে নেই। ঢাকাগামী যানবাহন ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, “বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেতু পার হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৫টি যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪ হাজার ২৭০ টাকা।” অতিরিক্ত চাপের কারণে টোল আদায় চারবার বন্ধ রাখতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে এতসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ এড়ানো যাচ্ছে না বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

২৫ কিলোমিটার জট, বৃষ্টি ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি

যমুনা সেতুতে যানজট, ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে

Update Time : 10:49:36 pm, Thursday, 5 June 2025

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে সেতুর পূর্ব প্রান্তে শুরু হওয়া যানজট রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্তও স্বাভাবিক হয়নি। ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ যানজট ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে দিয়েছে।

যানজটে আটকে থাকা মানুষদের মধ্যে খোলা ট্রাক, পিকআপ এবং মোটরসাইকেলের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে যাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

গার্মেন্টস কর্মী সালাউদ্দিন মিয়া জানান, “সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার গাজীপুর থেকে ট্রাকে উঠি, বিকেল ৩টায় এলেঙ্গা পৌঁছেছি।”

আরেক যাত্রী মল্লিকা খাতুন বলেন, “সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে বাসে উঠেছি, এখন (বিকেল আড়াইটা) এলেঙ্গার পৌলী পর্যন্ত এসেছি।”

একই অভিজ্ঞতা মামুন নামের এক যাত্রীর, “পিকআপে কাগজ ঢেকে যাচ্ছি, কিছু করার নেই।”

এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “মহাসড়কে ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। কোথাও থেমে নেই। ঢাকাগামী যানবাহন ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, “বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেতু পার হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৫টি যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪ হাজার ২৭০ টাকা।” অতিরিক্ত চাপের কারণে টোল আদায় চারবার বন্ধ রাখতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে এতসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ এড়ানো যাচ্ছে না বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।