
পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডার:যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার নারীরা পরবর্তী সময়ে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডার (সংক্ষেপে পিটিএসডি) রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। পিটিএসডি আক্রান্ত নারীর মনে আঘাতের ভয়ংকর স্মৃতি বারবার ফিরে আসে। ধর্ষকের চেহারা বা ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো শব্দ, দৃশ্য বা আলোচনা তাঁর মনে আকস্মিকভাবে জাগিয়ে তোলে সেই দুঃসহ স্মৃতি।
বিষণ্নতা ও উদ্বেগ:বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যৌন নির্যাতনের শিকার নারী। দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকে এবং দৈনন্দিন কাজে উৎসাহ বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আনন্দের অনুভূতি, ঘুম, খাওয়ার রুচি, মনোযোগ, চিন্তা ও কাজের গতি কমে যায়। অনেকে নিজেকে ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে না পারার হতাশায় অথবা ধর্ষণের জন্য নিজেকেই দায়ী ভেবে অপরাধবোধে ভোগেন।
আত্মহত্যা প্রবণতা:যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ফলে সৃষ্ট অসহায়ত্ব ও বিষণ্নতা, পাশাপাশি অবর্ণনীয় মানসিক ও সামাজিক চাপ আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিরাপত্তাহীনতা, আতঙ্কবোধ, সামাজিক গঞ্জনা, বিচারহীনতা বা বিচারপ্রক্রিয়ায় সৃষ্ট হতাশা,