প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০২৫, ১১:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২২, ২০২৫, ২:৩৬ পি.এম
নির্যাতিতা নারীর মানসিক স্বাস্থ্য

ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন। নারীর সঙ্গে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংস ঘটনা ধর্ষণ। এ জঘণ্য হামলার শিকার নারীরা কেবল শারীরিকভাবেই জখম ও ক্ষতিগ্রস্ত হন, তা নয়।
পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডার:যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার নারীরা পরবর্তী সময়ে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডার (সংক্ষেপে পিটিএসডি) রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। পিটিএসডি আক্রান্ত নারীর মনে আঘাতের ভয়ংকর স্মৃতি বারবার ফিরে আসে। ধর্ষকের চেহারা বা ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো শব্দ, দৃশ্য বা আলোচনা তাঁর মনে আকস্মিকভাবে জাগিয়ে তোলে সেই দুঃসহ স্মৃতি।
বিষণ্নতা ও উদ্বেগ:বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যৌন নির্যাতনের শিকার নারী। দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকে এবং দৈনন্দিন কাজে উৎসাহ বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আনন্দের অনুভূতি, ঘুম, খাওয়ার রুচি, মনোযোগ, চিন্তা ও কাজের গতি কমে যায়। অনেকে নিজেকে ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে না পারার হতাশায় অথবা ধর্ষণের জন্য নিজেকেই দায়ী ভেবে অপরাধবোধে ভোগেন।
মাদকাসক্তি:মানসিক যন্ত্রণা ও চাপ থেকে মুক্তি পেতে বা দুঃসহ স্মৃতি সাময়িকভাবে ভুলে থাকতে কেউ কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঘুমের ওষুধ বা অন্যান্য মাদক গ্রহণ করেন। মানসিক চাপ মোকাবেলার চরম ক্ষতিকর কৌশল এটি। এতে মানসিক যন্ত্রণা সাময়িক উপশম হলেও মাদকে আসক্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
আত্মহত্যা প্রবণতা:যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ফলে সৃষ্ট অসহায়ত্ব ও বিষণ্নতা, পাশাপাশি অবর্ণনীয় মানসিক ও সামাজিক চাপ আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিরাপত্তাহীনতা, আতঙ্কবোধ, সামাজিক গঞ্জনা, বিচারহীনতা বা বিচারপ্রক্রিয়ায় সৃষ্ট হতাশা,
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)
- সহ-সম্পাদক: প্রফেসর আসাদুজ্জামান সুমন
© All rights reserved © Daily Songbad diganta