
চরম মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী কফি ব্যবসায়ীরা কফি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে প্রায় স্থবির হয়ে গেছে কফির বাজার। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কফি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, নভেম্বরের পর থেকে অ্যারাবিকা কফির দাম ৭০ শতাংশ বেড়েছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য সৃষ্টি করেছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। খবর রয়টার্স।ইকুয়েডরের এলকাফে সি.এ.-এর মহাপরিচালক রেনান চুয়েরি বলেন, এ বছর প্রথমবারের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসের মধ্যেই পুরো বছরের জন্য নির্ধারিত কফি বিক্রি করতে পারেনি।
তিনি আরো জানান, কফির দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় অনেক ক্রেতাই কফি কিনছেন না। ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কফি কিনতে পারছেন না, কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই।মূলত ব্রাজিলসহ প্রধান উৎপাদক দেশগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ায় কফির সরবরাহ সংকুচিত হয়েছে। এক কফি ব্রোকার জানান, ব্যবসায়ীরা এখন ভবিষ্যতের জন্য কফি কিনতে চাইছে না, বরং শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প পরিমাণে কিনছে।তিনি আরো বলেন, ব্রাজিলে সাম্প্রতিক কফি সংক্রান্ত চুক্তিগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে।যদি কফির মান ঠিকঠাক হয় তখনই আপনি সরাসরি অর্থ দেবেন এবং আপনার কফি নিয়ে চলে যাবেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যের কারণে চাহিদা কমতে পারে এবং ২০২৫ সালে ব্রাজিলে ভালো উৎপাদন হলে দাম ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। তবে ততদিন কফি শিল্পকে কঠিন সময় পার করতে হবে।