Dhaka 3:29 pm, Monday, 28 April 2025

আহ্‌মাদের রিকশাচিত্রের বিশ্বভ্রমণ

বাসায় গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র।

ছোট্ট ঘরের এক কোণে হাতে তৈরি ইজেলসদৃশ দেয়াল। নিচে অনেকগুলো রঙের কৌটা। ওপরে একটি বাল্ব জ্বলছে। বাল্বের এক পাশে মোটা কাগজ দিয়ে আলোর গতি ঠিক করে দিয়েছেন—যেন আলো শুধু ইজেলেই পড়ে। সেখানে পাতলা টিন বসিয়ে তা রাঙানো শুরু করলেন। কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান এলাকায় তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র। হাসতে হাসতে বললেন, ‘এভাবেই ছবি এঁকে কাটিয়ে দিয়েছি পাঁচ দশকের বেশি সময়।’তবে হোসেনি দালান এলাকায় আহ্‌মাদ নামেই বেশি পরিচিত। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পড়াশোনায় মন বসত না আহ্‌মাদের। শৈশবেই ছবির নেশা পেয়ে বসে।

স্কুল থেকে ফিরে দিনভর আঁকতেন। বাবা অবশ্য এসব পছন্দ করতেন না। রিকশা, বেবিট্যাক্সির গ্যারেজ ছিল তাদের। একবার দুর্ঘটনায় পড়ে দীর্ঘদিন বিছানায় ছিলেন আহ্‌মাদের বাবা। একসময় সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।বাবাকে হারানোর পর থেকে ইতি ঘটে আহ্‌মাদের পড়াশোনার।  ছবি আঁকায় আগ্রহ দেখে আহ্‌মাদকে রং এনে দেন বড় ভাই। তখন আঁকা বলতে বুঝতেন, কেবল রিকশার নানা অঙ্গে লাগানো ছবি। নিয়মিত সেটিই চর্চা করতেন। ১৯৬৭ সালের কথা। আহ্‌মাদ তখন দুরন্ত কিশোর। একদিন টিন কেটে সেটায় ছবি এঁকে নিয়ে যান এক রিকশার গ্যারেজে। মনে ধরে গ্যারেজ মালিকের। তিনি ছবিটি রেখে দিলেন। কয়েকদিন পর ডেকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আহ্‌মাদের রিকশাচিত্রের বিশ্বভ্রমণ

Update Time : 05:02:50 pm, Tuesday, 22 April 2025
ছোট্ট ঘরের এক কোণে হাতে তৈরি ইজেলসদৃশ দেয়াল। নিচে অনেকগুলো রঙের কৌটা। ওপরে একটি বাল্ব জ্বলছে। বাল্বের এক পাশে মোটা কাগজ দিয়ে আলোর গতি ঠিক করে দিয়েছেন—যেন আলো শুধু ইজেলেই পড়ে। সেখানে পাতলা টিন বসিয়ে তা রাঙানো শুরু করলেন। কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান এলাকায় তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র। হাসতে হাসতে বললেন, ‘এভাবেই ছবি এঁকে কাটিয়ে দিয়েছি পাঁচ দশকের বেশি সময়।’তবে হোসেনি দালান এলাকায় আহ্‌মাদ নামেই বেশি পরিচিত। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পড়াশোনায় মন বসত না আহ্‌মাদের। শৈশবেই ছবির নেশা পেয়ে বসে।

স্কুল থেকে ফিরে দিনভর আঁকতেন। বাবা অবশ্য এসব পছন্দ করতেন না। রিকশা, বেবিট্যাক্সির গ্যারেজ ছিল তাদের। একবার দুর্ঘটনায় পড়ে দীর্ঘদিন বিছানায় ছিলেন আহ্‌মাদের বাবা। একসময় সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।বাবাকে হারানোর পর থেকে ইতি ঘটে আহ্‌মাদের পড়াশোনার।  ছবি আঁকায় আগ্রহ দেখে আহ্‌মাদকে রং এনে দেন বড় ভাই। তখন আঁকা বলতে বুঝতেন, কেবল রিকশার নানা অঙ্গে লাগানো ছবি। নিয়মিত সেটিই চর্চা করতেন। ১৯৬৭ সালের কথা। আহ্‌মাদ তখন দুরন্ত কিশোর। একদিন টিন কেটে সেটায় ছবি এঁকে নিয়ে যান এক রিকশার গ্যারেজে। মনে ধরে গ্যারেজ মালিকের। তিনি ছবিটি রেখে দিলেন। কয়েকদিন পর ডেকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেন।