
আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে সড়কে লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল প্রতিরোধে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। বিআরটিএ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আমিনবাজার ও বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যারেজ ও গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠানে (ওয়ার্কশপ) যৌথ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। শনিবার বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাহাত গাওহারীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান বলেন, আগামী যে ঈদুল ফিতর আছে সেই উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবে এবং ঈদ শেষে ঢাকায় আবার ফিরে আসবে। এই ঈদ কেন্দ্র করে ফিটনেসবিহীন ও লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি যাতে রাস্তায় না নামতে পারে সে জন্য গাড়ির যে গ্যারেজ বা ওয়ার্কশপগুলো আছে আমরা তাদেরকে সচেতনতামূলক একটি মোবাইল কোর্ট করছি, এসব গ্যারেজ থেকে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী গাড়ি যাতে তারা না নামায়। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলে একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে দীর্ঘ একটা যানজট সৃষ্টি হয় এবং মানুষের জীবনও হুমকির মুখে পড়ে। এগুলো যাতে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি এই কারণেই ওয়ার্কশপগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের সতর্ক করছি।
সড়কে যেসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি রয়েছে ধরার বিষয়ে পদক্ষেপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে জেল-জরিমানা উভয় শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা আছে।
ডিএমপি থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাফিক, মিরপুর বিভাগের আওতাধীন কোটবাড়ি থেকে নবাবেরবাগ এলাকার মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্কশপে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ওই এলাকার পাঁচটি ওয়ার্কশপ পরিদর্শন করে তাদের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। ঈদের আগে তারা যাতে কোনো লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস মেরামত করে রাস্তায় নামাতে সহায়তা না করে সে মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।