
রাজধানীর বনানী একটি ডিপ্লোমেটিক জোন। গেষ্ট হাউজ, হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার, স্পা সেন্টার,নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে জমজমাট মাদক সহ ব্লাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালালরা নারীদেরকে চাকরির প্রবল দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্লাকমেইল করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানের ছেলেরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বনানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে গেষ্ট হাউজ ও বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহ পসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় এ বছর গুলশানে বেঙ্গের ছাতার মতো গর্জে উঠেছে পতিতা বাণিজ্যের। তবে এসব বাণিজ্যে থানা পুলিশের সহযোগীতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো ভাই, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, এমনকি স্থানীয় বিএনপি নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
জানা গেছে, বনানীর ১৮ নং সড়কে জে বøকে মহামায়া হোটেল এন্ড স্পা নামক একটি প্রতিষ্ঠানে দির্ঘদীন ধরেই চলছে একাধিক নারী চক্রের মাধ্যমে চলছে মাদক নারীসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম। এদের পেছনে রয়েছে বড় একটি নারী সিন্ডিকেট যাহা ধরাছোয়ার বাইরে। তবে গুলশানে যৌথবাহিনী অভিযান চালালেও এখনো বনানী এলাকায় কোন অভিযান চালায়নি। তবে তারা বলছে, আমাদের কাছে এসব বিষয় একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং আমরা শির্ঘই ব্যবস্থা নিব।
কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানে আজাদসহ একাধিক মালিকানায় পরিচালনা হচ্ছে বলে জানা গেছে এবং তারা বলেন, থানা পুলিশ ঠিক আছে বলেই আমরা এসব ব্যবসা করতে পারছি। ডিসি ওসি সবাই পয়সা খায়। যার ফলে কোন সমস্যা হয়না। সাংবাদিকরা লেখালেখি করলেও তাদে কিছুই হয়না। অথচ আ.লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান। তখন অসাধু ব্যবসায়ীরা শেখ সেলিমসহ আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ একাধিক পরিচয়ে চালাতেন এসব অনৈতিক কার। বর্তমানে সরকার পতন হওয়ার পর পরই তাদের ভোল পাল্টিয়ে কেউ পরিচয় দিচ্ছে আমারা বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে ছিলাম এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে তো আছি এই। এভাবে তাদেরকে তুরুপের তাস বানিয়ে চলছে তাদের নারী ও মাদক বাণিজ্য।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তারা মাসোহারা নিয়ে প্রকাশ্যে তাদেরকে এসব সমাজের কাজ চালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বন্ধে নেই কোন তাদের ভূমিকা।
এবিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আমার এলাকায় এসব ব্যবসা চলবে না। যদি কেউ অর্থের লোভে সমাজের আপত্তিকর এধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। (চলবে)