Dhaka 2:32 am, Wednesday, 2 April 2025

দিনাজপুরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ শয়নকক্ষ হতে দিলারা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিলারা বেগম বীরগঞ্জ পৌর শহরের ফাজিল মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী। শনিবার দুপুরে নিজ শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত আবুল হোসেনের ছোট ভাই মো. সেলিম জানান, প্রায় ৩ বছর পূর্বে বড় ভাই আবুল হোসেন হৃদরোগে মারা যাওয়ার পর একাই বাড়িতে বসবাস করেন ভাবী দিলারা বেগম। শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তার পালিত মেয়ে আবিদা ইফনিত আভা (২০) বাড়িতে এসে দিলারা বেগমকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির সবাইকে ডেকে আনে। বাড়ির লোকজন প্রথমে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে মনে করে তুলতে গেলে মেঝেতে রক্ত দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে জানা না গেলেও ঘরের একটি আলমারির হ্যান্ডেল ভাঙা এবং দিলারা বেগমের ব্যবহারিক মোবাইলফোনটি পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইমসিন দল কাজ করছে। মৃতের গলার দুই জায়গায় কাটার চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

দিনাজপুরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

Update Time : 08:33:28 am, Monday, 31 March 2025

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ শয়নকক্ষ হতে দিলারা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিলারা বেগম বীরগঞ্জ পৌর শহরের ফাজিল মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী। শনিবার দুপুরে নিজ শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত আবুল হোসেনের ছোট ভাই মো. সেলিম জানান, প্রায় ৩ বছর পূর্বে বড় ভাই আবুল হোসেন হৃদরোগে মারা যাওয়ার পর একাই বাড়িতে বসবাস করেন ভাবী দিলারা বেগম। শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তার পালিত মেয়ে আবিদা ইফনিত আভা (২০) বাড়িতে এসে দিলারা বেগমকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির সবাইকে ডেকে আনে। বাড়ির লোকজন প্রথমে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে মনে করে তুলতে গেলে মেঝেতে রক্ত দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে জানা না গেলেও ঘরের একটি আলমারির হ্যান্ডেল ভাঙা এবং দিলারা বেগমের ব্যবহারিক মোবাইলফোনটি পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইমসিন দল কাজ করছে। মৃতের গলার দুই জায়গায় কাটার চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।