
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন ৮৭ বছর বয়সে। অভিনয়ের রূপালি পর্দা থেকে ক্যামেরার পেছনে চলে গিয়ে তিনি এখন পরিচিত হচ্ছেন এক ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার’ ও ‘চিত্রশিল্পী’ হিসেবে।
ছবি আঁকা ও ফটোগ্রাফির ওপর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হিমাংশু শেঠের কাছ থেকে হাতে-কলমে শিখেছেন এই বিষয়ে। এরপর থেকে নিয়মিতই সাফারি পার্কে সময় কাটাচ্ছেন—ভারত ছাড়াও কেনিয়া, তানজানিয়া ও নাইজেরিয়ার বিভিন্ন সাফারিতে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন।
২০১৯ সালে তানজানিয়ায় তোলা ‘টুইনিং’ নামে একটি চিতা বাঘ জোড়ার ছবি কিংবা ২০১৬ সালে নামিবিয়ার মরুভূমিতে তোলা এক অদ্ভুত দৃশ্যের ছবি ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। নিজের তোলা ছবির একটি প্রদর্শনীও করেছেন ওয়াহিদা রেহমান।
তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই ছবি তুলতে চাইতাম। যৌবনে প্রায়ই সিনেমার সেটে ছোট ক্যামেরা নিয়ে যেতাম। অ্যাকশন-কাটের ফাঁকে আশপাশের ছবি তুলতাম। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা বলতেন, আমার তোলা ছবি খুব সুন্দর হয়।”
ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁর তোলা জিরাফের মতো বিরল দৃশ্যও।১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী, ২০১১ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান ওয়াহিদা রেহমান। ২০২৩ সালে ৮৫ বছর বয়সে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্মাননা।
নায়িকা হিসেবে ইতিহাস গড়া এক জীবনের পরে ওয়াহিদা রেহমান এখন নতুন পরিচয়ে, প্রকৃতির নির্ভেজাল রূপের এক নিবেদিতদর্শী।