
দেশ বদলে গেছে। ১৬ বছর পর হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। এমন ঘটনা
পর বড় ধরনের বদল আসার কথা ছিল। এসেছেও বেশ কিছুটা পরিবর্তন। এর মধ্যে
অন্যতম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নয়া সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ
। আর পরিচালক হিসেবে নতুন ভাবে যুক্ত হয়েছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও পরিচালক জালাল ইউনুস ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়
পদত্যাগ করেছেন। বাকিরা আত্মগোপনে থাকায় ও পর পর তিনটি বোর্ড সভায় উপস্থিত না থাকায় তাদের পদ হারান। তার মানে মাত্র ১০ জন নিয়ে চলছে বিসিবি’র
পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম। ধারণা করা হচ্ছিল বিসিবি’র কমিটি ভেঙে দিয়ে গঠন
করা হবে অ্যাডহক কমিটি। কিন্তু সেটি হয়নি। তাহলে নির্বাচন কবে! এ বছর
অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কবে হচ্ছে তা এখনো
পরিষ্কার নয়। যে কারণে দিন দিন প্রশ্ন বাড়ছে কবে শুরু হবে বিসিবি’র নির্বাচনী
প্রক্রিয়া। শুধু তাই নয়, গুঞ্জন রয়েছে বদলে যেতে পারে বিসিবি সভাপতিও। সেখানে
দেখা যেতে পারে নতুন কাউকে। এর মধ্যে বেশ ক’টি নাম উঠে এসেছে। যার মধ্যে
অন্যতম লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফর রহমান বাদল, বিসিবি’র সাবেক
পরিচালক রিয়াজুদ্দিন আল মামুন। শোনা যাচ্ছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক
তামিম ইকবালের নামও। একটি সূত্রে জানা গেছে বিসিবি’র নির্বাচন যথা সময়ে করার
পরিকল্পনা আছে নয়া সভাপতি ফারুকের। সূত্রটি জানায়, ‘আসলে বিসিবি যেভাবে
চলছে সেটি কোনো ভাবেই সঠিক না। গুটিকয়েক পরিচালকের ওপর এতগুলো কমিটির
দায়িত্ব যে কারণে কোনো কিছুই গোছালো হচ্ছে না। আমার মনে হয় যতদ্রুত নির্বাচন
আয়োজন করা যাবে ততোই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মঙ্গল।’ যতটা জানা গেছে বিসিবি’র
নির্বাচন আয়োজনের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা কাউন্সিলরদের তালিকা নবায়ন করা।
জেলা, বিভাগ ও ক্লাবগুলো থেকে আসবে নতুন কাউন্সিলর। অন্যদিকে নির্বাচনের
আগে বিসিবি’র গঠনতন্ত্র সংশোধনের ওপরও নির্ভর করছে অনেক কিছু। অন্যদিকে
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে ইশরাক হোসেনকে নয়া কাউন্সিলর হিসেবে মনোনিত করা
হয়েছে। এছাড়াও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হককেও এখন বিসিবি প্রাঙ্গনে দেখা যাচ্ছে
। তবে সবচেয়ে বড় গুঞ্জন রয়েছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় বিসিবি
সভাপতি’র দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদ হয়তো আর থাকতে পারবেন না। তাহলে
নয়া সভাপতি কে হতে পারেন এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে নির্বাচন করে
সভাপতি হতে পারেন লুৎফর রহমান বাদল। এছাড়াও জাতীয় দল থেকে সদ্য অবসর
নেয়া সাবেক অধিনায়ক ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। শোনা যাচ্ছে নানা
বিতর্ক সরিয়ে তার জাতীয় দলের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুযোগটি তিনি
নেননি। তাকে নিয়ে ঘোষণা করার কথা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিসিবি সভাপতি বা বোর্ড
পরিচালক হওয়ার জন্য তিনি ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও
তার বিসিবিতে দায়িত্ব নিয়ে আসার সম্মতি আছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। আর
ক্লাব সূত্রে জানা গেছে সবকিছু ঠিক থাকলে নির্বাচিত হয়ে সভাপতি হতে পারে বাদল।
তবে বিসিবি’র নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তারও গুঞ্জন রয়েছে। নিয়ম অনুসারে বিসিবি
বর্তমান সভাপতি চাইলে নির্বাচন দিতে পারেন মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় মাস আগেই।
তবে সেটি নির্ভর করছে তার চাওয়ার ওপরই। অন্যদিকে দেশে জাতীয় নির্বাচন হলেও
বিসিবিতে আসতে পারে আরো একবার বড় পরিবর্র্তন। কারণ বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে
অন্তর্বর্র্তীকালীন সরকার। যদি দ্রুত নির্বাচন হয় তাহলেও বিসিবি’র নির্বাচনে প্রভাব
পড়বে বড় ধরনের। এখন দেখার অপেক্ষা কোন পথে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন