
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারীরা, যারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) এ নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন, তারা মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় পৃথিবীতে ফিরবেন।বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে করে ফিরিয়ে আনা হবে। তাদের সঙ্গে থাকবেন আরেকজন মার্কিন নভোচারী এবং একজন রুশ মহাকাশচারী। মহাকাশযানটি রোববার ভোরে আইএসএসে পৌঁছেছে। বয়িং স্টারলাইনারের ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা এই দুই নভোচারী গত জুন মাসে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন বয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রথম মানব-মিশনে। তবে, মহাকাশযানটির প্রপালশন সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়ায় সেটিকে পৃথিবীতে ফেরার জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে, পরিকল্পিত স্বল্প সময়ের মিশন দীর্ঘ নয় মাসের বন্দিদশায় পরিণত হয়।
নাসা রোববার (১৬ মার্চ) রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্লোরিডা উপকূলে মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউন (সমুদ্রে অবতরণ) করার সময়সূচি মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে এগিয়ে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি বুধবার বা তার পরে নির্ধারিত ছিল।
নাসার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হালনাগাদ ফেরার সময়সূচি মহাকাশ স্টেশনের ক্রুদের দায়িত্ব হস্তান্তর শেষ করার সুযোগ দিচ্ছে এবং একইসঙ্গে সপ্তাহের শেষের দিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার শঙ্কার কথা মাথায় রেখে অভিযানের জন্য কার্যকরী নমনীয়তা দেয়া হচ্ছে।
নাসার নভোচারী নিক হেগ এবং রসকসমসের (রুশ মহাকাশ সংস্থা) মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভও ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে পৃথিবীতে ফিরবেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে এই অভিযানের প্রস্তুতি ও হ্যাচ বন্ধ করার প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
তবে, উইলমোর ও উইলিয়ামসের অপ্রত্যাশিত দীর্ঘ মিশন তাদের পরিবারের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেহেতু তারা স্বল্প সময়ের মিশনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাই অতিরিক্ত পোশাক ও ব্যক্তিগত যত্নের সামগ্রী পাঠাতে হয়েছে।তাদের এই দীর্ঘ অপেক্ষা ও বাড়ির বাইরে থাকার কষ্ট মহাকাশপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও সহানুভূতি তৈরি করেছে। অবশেষে মঙ্কাল তারা পৃথিবীতে ফিরছেন, যা তাদের জন্য এক বহুল প্রতীক্ষিত মুহূর্ত।