Dhaka 5:32 am, Thursday, 29 May 2025

পেরিপার্টাম কার্ডিও-মায়োপ্যাথি কী

শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি (চবৎরঢ়ধৎঃঁস ঈধৎফরড়সুড়ঢ়ধঃযু) হলো একটি বিরল হার্টের রোগ, যা গর্ভধারণের শেষ পর্যায়ে বা প্রসবের পরের ৫ মাসের মধ্যে নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। এ রোগে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় এবং রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে হৃদস্পন্দন বা শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় এটি বেশ জটিল এবং বিপজ্জনক অবস্থা হতে পারে।পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথির প্রধান লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা প্রসবের পর প্রথম কয়েক মাসে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছেÑ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা। শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শোয়া অবস্থায়। তাই এটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকির কারণ চচঈগ-এর সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছেÑ উচ্চ বয়সে গর্ভধারণ (৩০ বছরের বেশি)। একাধিক গর্ভাবস্থা (যমজ বা তার বেশি)। উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে স্টেরয়েড থেরাপি। হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি। চচঈগ-এর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা এবং শারীরিক লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা। চচঈগ-এর চিকিৎসায় সাধারণত যেসব পদ্ধতি গৃহীত হয় তা হলোÑ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য ওষুধ। উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থার সময় যে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ সম্পর্কে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পেরিপার্টাম কার্ডিও-মায়োপ্যাথি কী

Update Time : 02:06:16 pm, Tuesday, 27 May 2025

পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি (চবৎরঢ়ধৎঃঁস ঈধৎফরড়সুড়ঢ়ধঃযু) হলো একটি বিরল হার্টের রোগ, যা গর্ভধারণের শেষ পর্যায়ে বা প্রসবের পরের ৫ মাসের মধ্যে নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। এ রোগে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় এবং রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে হৃদস্পন্দন বা শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় এটি বেশ জটিল এবং বিপজ্জনক অবস্থা হতে পারে।পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথির প্রধান লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা প্রসবের পর প্রথম কয়েক মাসে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছেÑ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা। শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শোয়া অবস্থায়। তাই এটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকির কারণ চচঈগ-এর সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছেÑ উচ্চ বয়সে গর্ভধারণ (৩০ বছরের বেশি)। একাধিক গর্ভাবস্থা (যমজ বা তার বেশি)। উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে স্টেরয়েড থেরাপি। হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি। চচঈগ-এর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা এবং শারীরিক লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা। চচঈগ-এর চিকিৎসায় সাধারণত যেসব পদ্ধতি গৃহীত হয় তা হলোÑ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য ওষুধ। উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থার সময় যে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ সম্পর্কে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।