
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাপুরে অবস্থিত অনুমোদনহীন হোটেল ওয়ান ষ্টার। রাজধানীতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ কাজে আসেন এবং যারা মূলত সাময়িক কোন দরকার মেটানো, আইনী ঝামেলা বা বিদেশ পাড়ি দিতে আসেন। এসেই তারা আশ্রয়ের জন্য দ্বারস্থ হন আবাসিক হোটেলগুলোতে। কিন্তু এখানে মূলত সমস্যার শুরু। কারণ প্রায়ই এসব আবাসিক হোটেলে ঘটছে খুন, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ। এর বাইরে দেহব্যবসা তো রয়েছেই। জানা গেছে, রাজধানীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে চলে দেহ ব্যবসা। জানা গেছে, ডিএমপির নির্দেশিত নিয়মগুলো যথাযথ অনুসরণ না করায় চলছে হোটেল মালিকদের রমরমা যৌন বাণিজ্যসহ নানা অপরাধের ধান্ধা। রাজধানীতে আবাসিক হোটেল কেন্দ্রিক নানা অঘটন বেশ কয়েক বছর ধরে ঘটে আসছে। পরে সেগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জণ্য মোটা অংকের অর্থ গুনতে হয় হোটেল মালিকদের। তবে উত্তরা পশ্চিম থানা মাঝে মধ্যে এসব আবাসিক হোটেলে আভিযান চালিয়ে যৌন কর্মীকে গ্রেফতার করে মালিকসহ যথারিতি মামলা দিয়ে থাকেন। এসব হোটেলের নেই জেলা প্রসাশকের কোন অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক ভবনে ভাড়া নিয়ে যথারিতি চালিয়ে আসছেন নারী ও মাদক বাণিজ্যর মত কারবার। কিন্তু উক্ত হোটেলটির বিষয় উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসারের নিকট একাধিক অভিযোগ করলে ওনেই তেমন কোন ভ‚মিকা বা তৎপরতা। এভাবেই অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেলগুলো প্রকাশ্যেই চালিয়ে আসছে তাদের যত কারবার। উক্ত হোটেল মালিক শফিক ও রাজিব নারী চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে। তারা দির্ঘদীন ধরেই এসব ব্যবসা ও মাদকের সাথে জড়িত বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তাদের নিয়ন্ত্রনে চলছে নারী চক্রের দালাল সিন্ডিকেট।
এবিষয়ে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। অপরাধীরা এখনো প্রকাশ্যে বেশ দাপটের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। হোটেলটিতে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে বিল্ডিং মালিকের সহযোগীতায় নারী চক্রের দালাল ২৪ ঘন্টা সেখানে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ছাড়াই বুকিং সহ স্কর্ট সার্ভিস অর্থাত অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এছাড়া কস্টমারদের চাহিদা মত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিভিন্ন বয়সের নারী সরবরাহ করে থাকেন হোটেলে মালিকদের সুপারভাউজার ও ম্যানেজার।
আরো জানা যায়, এসব হোটেলে ভাড়া রুম মেলে ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা। আর বিশ্বস্ত বা পরিচিত হলে ভাড়া কমে রাখা হয়। আর সেখানে মূলত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা অভিসারে যান। উক্ত হোটেলে বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলেই সিসিটিভি ক্যামেরা ও বর্ডারদের ছবি তুলে রাখার ব্যবস্থা নেই। এছাড়া নিয়মিত চাঁদা দিয়েই হোটেল ব্যবসা চালাতে হয়। তাই আর বাড়তি ঝামেলা করে লাভ কী।
এদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত হোটেলটিতে বাহির থেকে অনুমান করা যায়না যে, ভিতরে কি হচ্ছে। তবে এসব বন্ধে প্রশাসন চাইলে যেকোন মূহুর্তে বন্ধ করতে পারে। এসবের ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরো জানান, স্কুল ও মসজিদের পাশেই এসব হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালনা হয় বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এমন অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধসহ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। পাশাপাশি হোটেলটি পরিচালনা করেতে তাদের নিকট কি ধরনের বৈধতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জণ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আইনের উর্দ্ধে কেউ নয় এবং এসব অপরাধীরা সমাজের শত্রæ। আমার সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবো ও কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে এসব অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন। সমাজে এসব যঘণ্য পাপচার কাজ চলতে দেওয়া হবেনা। বিষয়টি আমি দেখছি।