
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আলমগীর মোল্যা (৪০) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রতিবাদে ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের নারী ও পুরুষসহ আরও পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য আলমগীর মোল্যা ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী মাতুব্বরের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। গত ২৫ ডিসেম্বর তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে আলমগীর মোল্লা মোটরসাইকেল চালিয়ে ভাঙ্গা যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে প্রতিপক্ষের বাবর আলী মাতুব্বরের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা তাকে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের সময় আলী মোর্শেদের একটি বসতঘর, একটি পিকআপ গাড়ি ও আলমগীর মোল্লার একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী ও পুরুষসহ ছয়জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লাকে প্রথমে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতরা অন্যান্যরা হলেন- আলী মোর্শেদ, ফুলু বেগমসহ আরও তিনজন তারা সবাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার চাচাতো ভাই সোহেল মোল্লা জানান, তার ভাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি। প্রতিপক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী মাতুব্বরের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ ও ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পরেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।