
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২৭মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর ইউনিয়নের দুধবহর এলাকার দুধবহর গ্রামের গোরস্তান ও হোছেনের বাড়ি সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী ওই ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে সুমি আক্তারকে গোপনে বিয়ে করার সুবাধে ধর্মপাশা বাজারের পূর্ব বাজারের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন দিতল ভবনের ভাড়া বাসায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে গোপনে দেখা করতে গেলে ধর্মপাশা থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে আটক করতে সেখানে অভিযানে গেলে খবর পেয়ে সঞ্জয় রায় চৌধুরী কৌশলে ওই বাসা থেকে সটকে পরলে পুলিশ তাকে তারা করে মঙ্গলবার (২৭মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর ইউনিয়নের দুধবহর এলাকার দুধবহর গ্রামের গোরস্তান ও হোছেনের বাড়ি সামনে থেকে তাকে আটক করা থানায় নিয়ে যায়।
এছাড়া তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় তিনিও বারবার নৌকা প্রতীক নিয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক বনে গেছেন। এর পূর্বে তিনি উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক পদে চাকরি করতেন। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও শিক্ষক ও চেয়ারম্যান উভয় পদের বেতন -ভাতা উত্তোলন করতেন। পরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার এই দুই পদের সুবিধা ভোগের নিউজ প্রকাশ হলে পরে তিনি শিক্ষ পদের বেতন আর তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।সঞ্জয় রায় চৌধুরীকে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি পাশ কাটিয়ে যান।
যদিও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি সুমি আক্তারকে নোটারি এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ে করেছেন এবং সুমি আক্তার বর্তমানে মাতৃ সম্ভবা আছেন বলে জানা যায়। তবে বিয়ের ব্যাপারে সুমি আক্তারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক উপজেলার জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে অপারেশন ডেভিল হানন্টের অভিযানের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।