Dhaka 1:11 pm, Saturday, 15 March 2025

পটুয়াখালীতে পৃথক ধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) ধর্ষণ মামলার মূল আসামি হোসেন হাওলাদার এবং ২০২০ সালে এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের ঘটনার মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রিয়াজ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (১৫ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে এবং সকালে উপজেলার দাশপাড়া ও কালাইয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে বাউফল থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া সুজন হাওলাদার (২৮) কালাইয়া ইউনিয়নের সেলিম হাওলাদের ছেলে এবং রিয়াজ মুন্সি (৩৭) দাশপাড়া ইউনিয়নের মৃত. বারেক মুন্সির ছেলে। পুলিশ জানায়, পরিবারের লোকজন কাজের সুবাধে বাহিরে থাকার সুযোগের ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে হোসেন। ঘটনা সরাসরি দেখে প্রতিবাদ করলে ভিকটিম কিশোরীর মা ও ফুফুকে মারধর করে অভিযুক্ত হোসেন, তার পিতা সেলিম ও ভাই হাসান।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ৮ ফেব্রুয়ারি বাউফল থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিনই মারধরে অভিযুক্ত হাসান ও সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত হোসেন। আজ সকালে পলাতক হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।

অপরদিকে ২০২০ সালে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রিয়াজ মুন্সিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে দাশপাড়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন যমুনা নিউজকে বলেন, পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পটুয়াখালীতে পৃথক ধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

Update Time : 08:13:52 pm, Saturday, 15 February 2025

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) ধর্ষণ মামলার মূল আসামি হোসেন হাওলাদার এবং ২০২০ সালে এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের ঘটনার মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রিয়াজ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (১৫ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে এবং সকালে উপজেলার দাশপাড়া ও কালাইয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে বাউফল থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া সুজন হাওলাদার (২৮) কালাইয়া ইউনিয়নের সেলিম হাওলাদের ছেলে এবং রিয়াজ মুন্সি (৩৭) দাশপাড়া ইউনিয়নের মৃত. বারেক মুন্সির ছেলে। পুলিশ জানায়, পরিবারের লোকজন কাজের সুবাধে বাহিরে থাকার সুযোগের ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে হোসেন। ঘটনা সরাসরি দেখে প্রতিবাদ করলে ভিকটিম কিশোরীর মা ও ফুফুকে মারধর করে অভিযুক্ত হোসেন, তার পিতা সেলিম ও ভাই হাসান।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ৮ ফেব্রুয়ারি বাউফল থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিনই মারধরে অভিযুক্ত হাসান ও সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত হোসেন। আজ সকালে পলাতক হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।

অপরদিকে ২০২০ সালে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রিয়াজ মুন্সিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে দাশপাড়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন যমুনা নিউজকে বলেন, পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।