Dhaka 10:11 am, Tuesday, 25 March 2025

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্কের রাজপথ

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্কের রাজপথ

র্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বুধবার ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেফতার করে তুরস্কের পুলিশ। গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলনের এ পর্যায়ে শুরু হয়েছে এরদোগানের পদত্যাগ দাবি। এর পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ইস্তান্বুলসহ দেশটির নানা প্রান্তে।এ ঘটনাকে ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সে বছরের আন্দোলন চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হন।এবারের বিক্ষোভ দমনে ইস্তান্বুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

এ ছাড়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জমায়েতের ওপর পাঁচদিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা সহিংসতার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইস্তান্বুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমির শহরেও বলপ্রয়োগে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আঙ্কারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি প্রধান সড়ক ধরে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

দেশটির প্রশাসনের এমন বাধা ও প্রেসিডেন্টের হুমকির তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি, এরদোগানের শাসনকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তুলেছেন অনেকে।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু শুক্রবারই আন্দোলনরত ৩৪৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।ইমামোগলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, এবং কিছু জনমত জরিপে তিনি এরদোয়ানকে ছাড়িয়ে গেছেন।ইমামোগলুর রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এই পদক্ষেপটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছে এবং সমর্থকদের আইনানুগভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্কের রাজপথ

Update Time : 03:23:30 pm, Sunday, 23 March 2025

র্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বুধবার ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেফতার করে তুরস্কের পুলিশ। গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলনের এ পর্যায়ে শুরু হয়েছে এরদোগানের পদত্যাগ দাবি। এর পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ইস্তান্বুলসহ দেশটির নানা প্রান্তে।এ ঘটনাকে ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সে বছরের আন্দোলন চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হন।এবারের বিক্ষোভ দমনে ইস্তান্বুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

এ ছাড়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জমায়েতের ওপর পাঁচদিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা সহিংসতার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইস্তান্বুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমির শহরেও বলপ্রয়োগে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আঙ্কারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি প্রধান সড়ক ধরে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

দেশটির প্রশাসনের এমন বাধা ও প্রেসিডেন্টের হুমকির তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি, এরদোগানের শাসনকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তুলেছেন অনেকে।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু শুক্রবারই আন্দোলনরত ৩৪৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।ইমামোগলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, এবং কিছু জনমত জরিপে তিনি এরদোয়ানকে ছাড়িয়ে গেছেন।ইমামোগলুর রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এই পদক্ষেপটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছে এবং সমর্থকদের আইনানুগভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে।