Dhaka 2:20 am, Wednesday, 28 May 2025

টিউশন আমার কাজে এসেছে

সদ্য পুলিশ ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত

মো. আবদুল আজিজ ভুঁইয়া সদ্য পুলিশ ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ছেড়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। নানান জটিলতায় ক্যাম্পাসজীবন শুরু হয় তার। আবদুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাতকারে যখন  কথা হয় ।

প্রথমেই আমার বিসিএসের দিকে এতটা আগ্রহ ছিল না। শুরুতে শুধু একাডেমিক পড়ায় আগ্রহ ছিল। সিজিপিএ বাড়াতে হবে এমন একটা চিন্তা মাথায় ছিল। আর আমার আব্বা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবর্তন আসে। চাকরির বিষয়ে বেশি চিন্তা করা শুরু করি। বিবিএ-এর শেষের দিক থেকে বিসিএস-র প্রস্তুতি শুরু করি। এত পরে ৪০তম বিসিএসের টার্গেট করা প্রচণ্ড রিস্কি ছিল ব্যাপারটা। কিন্তু আমি কনফিডেন্টও ছিলাম যে আমি পারব।

আমি টিউশন করতাম। টিউশনের মাধ্যমে কিছু পড়া প্র‍্যাক্টিসের মধ্যে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। চমৎকার কিছু মানুষ পেয়েছিলাম এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভালোভাবে সংযুক্ত হই। আসলে প্রচণ্ড রকম একটা আবেগ না থাকলে বিসিএস জয় করাটা কষ্ট। এর প্রতি আমার অনেক বেশি আবেগ ও ইচ্ছাশক্তি ছিল।

আমার সেজো বোন আমাকে আর্থিক অভাবটা কখনো বুঝতে দেননি। আমাকে কয়েকটা জিনিস হেল্প করেছে, তা হলো ডিবেট, টিউশন এবং আমার কঠিন সময়। বেশির ভাগ মানুষই বলত, আমার বিসিএস হয়ে যাবে। তাদের প্রত্যাশা আমার ভেতরে সাহস জুগিয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

টিউশন আমার কাজে এসেছে

Update Time : 03:38:47 pm, Monday, 3 February 2025

মো. আবদুল আজিজ ভুঁইয়া সদ্য পুলিশ ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ছেড়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। নানান জটিলতায় ক্যাম্পাসজীবন শুরু হয় তার। আবদুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাতকারে যখন  কথা হয় ।

প্রথমেই আমার বিসিএসের দিকে এতটা আগ্রহ ছিল না। শুরুতে শুধু একাডেমিক পড়ায় আগ্রহ ছিল। সিজিপিএ বাড়াতে হবে এমন একটা চিন্তা মাথায় ছিল। আর আমার আব্বা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবর্তন আসে। চাকরির বিষয়ে বেশি চিন্তা করা শুরু করি। বিবিএ-এর শেষের দিক থেকে বিসিএস-র প্রস্তুতি শুরু করি। এত পরে ৪০তম বিসিএসের টার্গেট করা প্রচণ্ড রিস্কি ছিল ব্যাপারটা। কিন্তু আমি কনফিডেন্টও ছিলাম যে আমি পারব।

আমি টিউশন করতাম। টিউশনের মাধ্যমে কিছু পড়া প্র‍্যাক্টিসের মধ্যে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। চমৎকার কিছু মানুষ পেয়েছিলাম এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভালোভাবে সংযুক্ত হই। আসলে প্রচণ্ড রকম একটা আবেগ না থাকলে বিসিএস জয় করাটা কষ্ট। এর প্রতি আমার অনেক বেশি আবেগ ও ইচ্ছাশক্তি ছিল।

আমার সেজো বোন আমাকে আর্থিক অভাবটা কখনো বুঝতে দেননি। আমাকে কয়েকটা জিনিস হেল্প করেছে, তা হলো ডিবেট, টিউশন এবং আমার কঠিন সময়। বেশির ভাগ মানুষই বলত, আমার বিসিএস হয়ে যাবে। তাদের প্রত্যাশা আমার ভেতরে সাহস জুগিয়েছে।