
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়িকে নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে ইরানকে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দুই মাসের সময়সীমা দেয়া হয়েছে।এই নির্দেশ এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইরানের সাথে তাদের পারমাণবিক ক্ষমতার উপর আরও নিয়ন্ত্রণ পেতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। সূত্র জানায়, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গত সপ্তাহে আবুধাবিতে থাকাকালীন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে চিঠিটি পৌঁছে দেন। পরে আরব আমিরাত চিঠিটি ইরানের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেন।জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আয়াতুল্লাহ খামেনেয়িকে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে চান এবং খুব শিগগিরই যদি এটি সম্ভব না হয়, তবে বিরোধ সমাধানের অন্য উপায় থাকবে।”
এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনালাপের সময় ট্রাম্প ইরানের সাথে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ট্রাম্প এবং পুতিন “ভবিষ্যত সংঘর্ষ প্রতিরোধে সম্ভাব্য সহযোগিতার অঞ্চল হিসাবে মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে কথা বলেছেন। তারা কৌশলগত অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং সম্ভাব্য এসব পরিকল্পনা ব্যাপক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে অন্যদের সাথে জড়িত থাকবেন।”
চিঠিটি ট্রাম্প লিখেছিলেন চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস নিউজকে সে সময় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিতও করেছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি তেহরানের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছি। সেখানে আমি বলেছি যে আমি আশা করি আপনারা (তেহরান) সমঝোতায় আসবেন। কারণ যদি আপনারা না আসেন, সেক্ষেত্রে আমাদের সামরিক পন্থায়ে এগোতে হবে এবং তা হবে ভয়ঙ্কর একটি ব্যাপার। এই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর এক বার্তায় খামেনেয়ি কৌশলে ট্রাম্পের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব আসলে একপ্রকার ভাঁওতাবাজি এবং ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা জারির জন্যই এই ভাঁওতা দিচ্ছেন তিনি।