
ঈদের লম্বা ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যেতে চান বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর আদর। আগেভাগেই হোটেল বুক করার জন্য পরিচিত একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত ১৩ মার্চ ঈদের প্রায় ১৭ দিন আগেই বুক করেছেন কক্সবাজারের স্যান্ডি বিচ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের তিনটি কক্ষ। ঈদের পরদিন থেকে পরের তিন দিন পরিবারের সবাই মিলে সেখানে ছুটি কাটাবেন।
কক্সবাজারের পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটির কারণে সৈকতে পর্যটকের ঢল নামবে। রমজানের অর্ধেক যেতে না যেতেই বুকিং শুরু হয়েছে। চার লক্ষাধিক পর্যটক সক্ষমতার হোটেল মোটেলে ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের আগেই সব বুকিং শেষ হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা আরো আশা করছেন আগের বছরের চেয়ে এবার ঈদে পর্যটন বাণিজ্য ভালো হবে। পর্যটন খাতের সূত্রমতে, প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করে থাকেন। এর সঙ্গে যুক্ত হন ৫ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক। কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান ইত্তেফাককে বলেন, গেল বছরের চেয়ে এবার পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটির ইতিবাচক সুযোগটা যাতে নিতে পারি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রচার-প্রচারণা ইউনিট নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ আছে।