Dhaka 5:35 pm, Saturday, 29 March 2025

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

আজ ২৬ মার্চ

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যায় মেতে ওঠে। গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। প্রথমে নিজের, পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান (পরে রাষ্ট্রপতি)।

পাকিস্তানি বাহিনীর কাপুরুষোচিত আক্রমণ ও গণহত্যার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাঙালিদের অভিন্ন অভিপ্রায় হয়ে ওঠে স্বাধীনতা অর্জন। সশস্ত্র লড়াই ও প্রতিরোধে আগুয়ান হয় এ দেশের মুক্তিকামী জনতা। শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় আসে।বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় এক নতুন মানচিত্র—স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে শোষিত ও বঞ্চিত বাঙালিরা পায় পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে।

আজ সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

Update Time : 02:02:08 pm, Wednesday, 26 March 2025

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যায় মেতে ওঠে। গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। প্রথমে নিজের, পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান (পরে রাষ্ট্রপতি)।

পাকিস্তানি বাহিনীর কাপুরুষোচিত আক্রমণ ও গণহত্যার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাঙালিদের অভিন্ন অভিপ্রায় হয়ে ওঠে স্বাধীনতা অর্জন। সশস্ত্র লড়াই ও প্রতিরোধে আগুয়ান হয় এ দেশের মুক্তিকামী জনতা। শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় আসে।বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় এক নতুন মানচিত্র—স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে শোষিত ও বঞ্চিত বাঙালিরা পায় পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে।

আজ সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।