
ঢাকার যেসব সড়কে রিকশা চলাচল নিষেধ, সেগুলোর প্রবেশমুখে ট্র্যাপার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কোনো রিকশা এ ট্র্যাপার (এক ধরনের ফাঁদ) পেরিয়ে যেতে চাইলে লোহার খাঁজে চাকা আটকে যাবে। আপাতত রমনা এলাকার কয়েকটি জায়গায় এ ‘ফাঁদ’ বসানো হচ্ছে। কার্যকরী মনে হলে পরে বসানো হবে নগরের অন্যান্য সড়কেও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় ঠিক কী পরিমাণ রিকশা আছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ব্যাটারিচালিত ও পায়ে চালিত রিকশা মিলিয়ে সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। মূল সড়কে চলাচলের নিয়ম না থাকলেও এসব রিকশা এখন ঢাকার প্রতিটি সড়কে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। যানজটও তৈরি হয়।
ডিএমপির (ট্রাফিক) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার বলেন, ঢাকার সড়কে রিকশা চলাচল সীমিত করার অংশ হিসেবে রিকশা ট্র্যাপার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএমপি ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক বসানো হচ্ছে। দেখা হবে কতটা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়। এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
দেখা গেছে, রমনা থানার সামনে সড়কের দুই পাশে এ ফাঁদ বসাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এতে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড থেকে কোনো রিকশা শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণিতে প্রবেশ করতে পারবে না। একইভাবে উল্টোপাশে পরীবাগ থেকে ইস্কাটন গার্ডেন হয়ে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড ধরে কোনো রিকশা শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণিতে যেতে পারবে না।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) মেহেদী হাসান বলেন, যেসব সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, ওই সব সড়কে পর্যায়ক্রমে আমরা এগুলো চালু করব। পরীক্ষামূলকভাবে রমনা জোনের কিছু এলাকায় বসানো হচ্ছে। এটা ভালো একটা ডিভাইস, মৌখিকভাবে ঝগড়াঝাঁটি করার চেয়ে এটা দিয়ে রাখলে রিকশা আর যেতে পারবে না। এই ফাঁদ নতুন নয়, এর আগেও ঢাকার বিভিন্ন সড়কে এগুলো বসানো হয়েছিল। তবে লোহার খাঁজে ময়লা আবর্জনা জমে সেগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। এগুলো স্থাপনের পর যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমরা সেটাও করব।