Dhaka 11:29 pm, Friday, 9 May 2025

গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে জর্ডানের আয় ৪ লাখ ডলার

সাহায্য পৌঁছাতে গিয়ে জর্ডান সরকার বিপুল অর্থ ।

ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে গিয়ে জর্ডান সরকার বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে বলে দাবি করেছে মিডল ইস্ট আই (এমইই)।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জর্ডানের সরকারি দাতব্য সংস্থা জর্ডান হাশেমাইট দাতব্য সংস্থা (জেএইচসিও) গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠাতে ইসরাইলি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং জেএইচসিও-র কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেএইচসিও-র নামে যে সব সাহায্য পাঠানো হচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিদেশি সরকার ও এনজিও থেকে এসেছে।

জর্ডানের সরাসরি অবদান ছিল যত সামান্য।এছাড়া গাজায় প্রতি বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার জন্য জর্ডান ২ থেকে ৪ লাখ ডলার পর্যন্ত চার্জ করেছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। যেখানে একেকটি বিমানে থাকা ত্রাণ একটি ট্রাকের অর্ধেকেরও কম পরিমাণ ছিল।এমইই-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম থেকে আয় বাড়ার ফলে জর্ডান তাদের লজিস্টিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ করছে।

এক বিদেশি অনুদানে ২০০টি নতুন ট্রাক কেনা হয়েছে এবং জাতিসংঘের সহায়তায় বড় আকারের গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে।তবে গাজা বাসিন্দা ও মানবিক কর্মীরা এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এয়ারড্রপ ঝুঁকিপূর্ণ, অপ্রতুল এবং অপ্রয়োজনীয়।  এর তুলনায়  স্থলপথে ত্রাণ পাঠানো অনেক বেশি কার্যকর।জর্ডান দাবি করেছে, যুদ্ধ শুরু পর থেকে তারা স্থলপথে অন্তত ১৪০টি ত্রাণবহর পাঠিয়েছে, যার প্রতিটিতে ছিল একাধিক ট্রাক।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে জর্ডানের আয় ৪ লাখ ডলার

Update Time : 04:30:23 pm, Friday, 9 May 2025

ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে গিয়ে জর্ডান সরকার বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে বলে দাবি করেছে মিডল ইস্ট আই (এমইই)।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জর্ডানের সরকারি দাতব্য সংস্থা জর্ডান হাশেমাইট দাতব্য সংস্থা (জেএইচসিও) গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠাতে ইসরাইলি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং জেএইচসিও-র কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেএইচসিও-র নামে যে সব সাহায্য পাঠানো হচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিদেশি সরকার ও এনজিও থেকে এসেছে।

জর্ডানের সরাসরি অবদান ছিল যত সামান্য।এছাড়া গাজায় প্রতি বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার জন্য জর্ডান ২ থেকে ৪ লাখ ডলার পর্যন্ত চার্জ করেছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। যেখানে একেকটি বিমানে থাকা ত্রাণ একটি ট্রাকের অর্ধেকেরও কম পরিমাণ ছিল।এমইই-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম থেকে আয় বাড়ার ফলে জর্ডান তাদের লজিস্টিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ করছে।

এক বিদেশি অনুদানে ২০০টি নতুন ট্রাক কেনা হয়েছে এবং জাতিসংঘের সহায়তায় বড় আকারের গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে।তবে গাজা বাসিন্দা ও মানবিক কর্মীরা এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এয়ারড্রপ ঝুঁকিপূর্ণ, অপ্রতুল এবং অপ্রয়োজনীয়।  এর তুলনায়  স্থলপথে ত্রাণ পাঠানো অনেক বেশি কার্যকর।জর্ডান দাবি করেছে, যুদ্ধ শুরু পর থেকে তারা স্থলপথে অন্তত ১৪০টি ত্রাণবহর পাঠিয়েছে, যার প্রতিটিতে ছিল একাধিক ট্রাক।