Dhaka 10:13 am, Monday, 2 June 2025

সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

সুন্দরবন

মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুন্দরবনে আগামী তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনমাস এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান না করে সুন্দরবনে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করায় জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী জানান, মৎস্য সম্পদ ও বণ্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস সুন্দরবনে মাছধরা ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে সুন্দরবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। খাদ্য সহায়তা সহ সরকারী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের তালিকা তৈরী করে পাঠানো হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

পূর্ব-সুন্দরবনে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমির মধ্য দিয়ে ভোলা, বলেশ্বর, শ্যালা, পশুর নদী সহ ১৩টি নদ-নদী ও ২৫০টি ছোট-বড় খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ সব নদী ও খালে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ী, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয় যায়। এ ছাড়াও বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য এলাকা সহ ১৮টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রস্থের খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ। বনের মৎস্য ও অন্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য জুন-জুলাই-আগস্ট তিন’মাস সুন্দরবনের অধিকাংশ খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

Update Time : 02:52:23 pm, Saturday, 31 May 2025

মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুন্দরবনে আগামী তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনমাস এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান না করে সুন্দরবনে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করায় জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী জানান, মৎস্য সম্পদ ও বণ্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস সুন্দরবনে মাছধরা ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে সুন্দরবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। খাদ্য সহায়তা সহ সরকারী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের তালিকা তৈরী করে পাঠানো হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

পূর্ব-সুন্দরবনে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমির মধ্য দিয়ে ভোলা, বলেশ্বর, শ্যালা, পশুর নদী সহ ১৩টি নদ-নদী ও ২৫০টি ছোট-বড় খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ সব নদী ও খালে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ী, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয় যায়। এ ছাড়াও বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য এলাকা সহ ১৮টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রস্থের খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ। বনের মৎস্য ও অন্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য জুন-জুলাই-আগস্ট তিন’মাস সুন্দরবনের অধিকাংশ খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।