
জানা যায়, দুপুরে দুই মামাতো ভাই আফিফ, রওশন ও রাহি ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ফুটবল খেলতে যায়। খেলা
শেষে নদে গোসল করতে নামলে ৫ জন পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা নদে নেমে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে
। পরে নিখোঁজ ৩ জনকে খোঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল
ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।রাহির বাবা এজাজ বলেন, আমি ইটভাটা
থেকে এসে দেখেছি মামাতো-ফুপাতো ভাই-বোন সব একসঙ্গে খেলছে। আমি খেতে বসছি ইতোমধ্যে তারা বলল
নদীতে যাবে। তাদের মা যেতে নিষেধ করলো। তারপরও তারা আমাকে অনুরোধ করে খেলতে গেলো।
ছনকান্দা এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী মনির বলেন, ৫ থেকে ৬ জন ছেলে সকালে নদীতে আসছে। তখন ওদের বলি
তোমরা সাঁতার জানো, নদীতে গর্ত আছে চলে যাও তখন চলে গেছে। না করার পরে আবার বিকালে নদীতে
আসে। পরে দেখি দুইটা বাচ্চা চিৎকার করছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি পানির উপরে দুইজন বেসে আসে তাদেরকে
জীবিত উদ্ধার করি। ৩ জন পানির নিচে চলে গেছে বিধায় ওদের উদ্ধার করতে পারি নাই। পরে ফায়ার
সার্ভিস এসে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।ডুবুরি ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি মো. মানাফ বলেন, নিখোঁজের
সংবাদ পেয়ে লোকেশন অনুযায়ী ড্রাইভ করি। ড্রেজার দিয়ে বালু তোলায় অনেক গভীর ছিলো। প্রথমে ১০
মিনিটের মধ্যে ১ জনকে পাই। আবার ১৫ মিনিট পরে আরেকজনকে পাই। আরো এক ঘণ্টার পরে
আরেকজনকে নদীর গভীর থেকে উদ্ধার করি।জামালপুর ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল
ইসলাম বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিডার টিম পাঠিয়ে দেয়। একঘণ্টা উদ্ধার অভিযান করে ৩
জনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় অভিযান সমাপ্ত
করি।