
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ির কাছে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ এড়ানোর প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।তিনি বলেছেন, আমাদের সবকিছু সামরিকভাবে সমাধান করতে হবে না। ইরানের প্রতি আমাদের বার্তা স্পষ্ট, ‘আসুন আলোচনায় বসি এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধান খুঁজে বের করি’। যদি তা সম্ভব হয়, আমরা প্রস্তুত।
আর যদি না হয়, তাহলে এর বিকল্প খুব একটা ভালো কিছু হবে না।এর আগে গত ৭ মার্চ ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আলোচনায় রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেয়া হয়। তবে খামেনেয়ি এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইরান কোনও ‘বলপ্রয়োগকারী’ শক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।পরে মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, কড়া ভাষায় লেখা চিঠিতে ট্রাম্প ইরানকে দুই মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি তেহরানের সমর্থন নিয়েও ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গত ১৫ মার্চ ইয়েমেন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপরই হুতিদের সমর্থনের বিষয়ে ইরানকে সতর্ক করে বক্তব্য দেন ট্রাম্প।এদিকে মার্কিন চাপের নীতি পরিবর্তন না করলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
চলতি বছরে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকেই ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছেন। আর ট্রাম্পের সামরিক হুমকির কারণে ইরানের অভ্যন্তরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার সরকারি নীতি পরিত্যাগের আহ্বান উঠতে শুরু করেছে।