Dhaka 1:34 pm, Saturday, 15 March 2025

গুলশানে ডায়মন্ড স্পার আড়ালে ভয়াবহ নারী ও মাদক বাণিজ্যে সাইফুল-রাজু

প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুর, রাজু ও মিঠু

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান। আর অভিজাত এলঅকায় গড়ে উঠছে নারী দ্বাড়া ভয়ংকর স্পা বাণিজ্য। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক কার্যকলাপসহ দির্ঘদীন ধরে চালিয়ে আসছে বø্যাক-মেইল বাণিজ্যও। জানা গছে, গুলশান- প্লাটিনিয়াম মর্কেটের (তৃতীয় তলায়) ডায়মন্ড স্পার আড়ালে একাধিক নারী চক্রের সদস্যরা বেশ দাপটের সাথে সমাজের আপত্তিকর বাণিজ্য চলিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গুলশান থানার ওসিকে জানালে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি পদক্ষেপ নিবেন বলে দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে জানিয়েছেন।

সম্প্রত্তি, একপর্যায়ে উক্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা ধিরে ধিরে গড়ে তুলেছে বড় সিন্ডিকেট। এত করে সমাজের উপর প্রভাব পরছে এবং পুলিশের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান এলাকার সাধারন বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীতায় ভ‚গছে। স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের সময় এসব প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে। তখন এরা আ.লীগের পরিচয় দিয়ে বেশ দাপটের সাথে এখনো প্রকাশ্যে তাদের নারি সিন্ডিকেট ভয়াবাহ রুপ ধারন করছে। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে স্পা করানোর নামে চলছে অশ্লিলতা। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রæপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাÐ, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। তাদের যোগসাজেই চলছে এসব কারবার। জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে। তবে পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। তবে জামান বলেন, যতটুকু বৈধতা রয়েছে তার চাইতে পুলিশ আমাদের বড় বৈধতা বলে মনে করি এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিউটি সেলুনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করছে ম্যাসেজ সেন্টার, করছেন অসামাজিক কার্যকলাপ! লোকজন আরো বলেন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘ভালো মেয়েদের দ্বারা’ বডি ম্যাসেজ করা হয়। ঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। এখানে ‘ফুল কোর্সও’ রয়েছে, রেট সাত থেকে ১০ হাজার টাকা।

অপদিকে যারা পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পার নামে পতিতালয় স্থাপন করে, তা চালিয়ে যাচ্ছে, পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে আহŸান করে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন অব্যাহত রয়েছে। এসব জায়গায় সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অণ্যদিকে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুর, রাজু ও মিঠু জানান, বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। বিভিন্ন প্রসাশন অভিযান করছে আমারা তাদেরকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি এবং গুলশান থানা থেকে শুরু করে সবাইকে মাসোহারা দিয়ে থাকি। অথচ এসব বিষয়ে গুলশান বিভাগের পুলিশ প্রসাশন কিছুই জানেন না। তাই এসব অপপ্রচার কারীদের অবিলম্বে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রসানের নিকট জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গুলশানে ডায়মন্ড স্পার আড়ালে ভয়াবহ নারী ও মাদক বাণিজ্যে সাইফুল-রাজু

Update Time : 09:30:11 pm, Thursday, 28 November 2024

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান। আর অভিজাত এলঅকায় গড়ে উঠছে নারী দ্বাড়া ভয়ংকর স্পা বাণিজ্য। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক কার্যকলাপসহ দির্ঘদীন ধরে চালিয়ে আসছে বø্যাক-মেইল বাণিজ্যও। জানা গছে, গুলশান- প্লাটিনিয়াম মর্কেটের (তৃতীয় তলায়) ডায়মন্ড স্পার আড়ালে একাধিক নারী চক্রের সদস্যরা বেশ দাপটের সাথে সমাজের আপত্তিকর বাণিজ্য চলিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গুলশান থানার ওসিকে জানালে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি পদক্ষেপ নিবেন বলে দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে জানিয়েছেন।

সম্প্রত্তি, একপর্যায়ে উক্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা ধিরে ধিরে গড়ে তুলেছে বড় সিন্ডিকেট। এত করে সমাজের উপর প্রভাব পরছে এবং পুলিশের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান এলাকার সাধারন বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীতায় ভ‚গছে। স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের সময় এসব প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে। তখন এরা আ.লীগের পরিচয় দিয়ে বেশ দাপটের সাথে এখনো প্রকাশ্যে তাদের নারি সিন্ডিকেট ভয়াবাহ রুপ ধারন করছে। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে স্পা করানোর নামে চলছে অশ্লিলতা। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রæপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাÐ, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। তাদের যোগসাজেই চলছে এসব কারবার। জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে। তবে পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। তবে জামান বলেন, যতটুকু বৈধতা রয়েছে তার চাইতে পুলিশ আমাদের বড় বৈধতা বলে মনে করি এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিউটি সেলুনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করছে ম্যাসেজ সেন্টার, করছেন অসামাজিক কার্যকলাপ! লোকজন আরো বলেন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘ভালো মেয়েদের দ্বারা’ বডি ম্যাসেজ করা হয়। ঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। এখানে ‘ফুল কোর্সও’ রয়েছে, রেট সাত থেকে ১০ হাজার টাকা।

অপদিকে যারা পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পার নামে পতিতালয় স্থাপন করে, তা চালিয়ে যাচ্ছে, পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে আহŸান করে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন অব্যাহত রয়েছে। এসব জায়গায় সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অণ্যদিকে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুর, রাজু ও মিঠু জানান, বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। বিভিন্ন প্রসাশন অভিযান করছে আমারা তাদেরকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি এবং গুলশান থানা থেকে শুরু করে সবাইকে মাসোহারা দিয়ে থাকি। অথচ এসব বিষয়ে গুলশান বিভাগের পুলিশ প্রসাশন কিছুই জানেন না। তাই এসব অপপ্রচার কারীদের অবিলম্বে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রসানের নিকট জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।