Dhaka 6:32 pm, Saturday, 29 March 2025

অবহেলায় ৪৪৩ বছরের খেরুয়া মসজিদ

বগুড়ার শেরপুরে ৪৪৩ বছরের প্রাচীন মসজিদ ।

বগুড়ার শেরপুরে ৪৪৩ বছরের প্রাচীন (মুঘল আমলে নির্মিত) ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ অবহেলার শিকার। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঐতিহাসিক মসজিদটির দায়িত্ব নিলেও প্রায় তিন যুগ সংস্কার করা হয়নি। তিনটি গম্বুজ ও বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরেছে। মসজিদের বাইরের অংশ মোটামুটি ভালো থাকলেও ভিতরে ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। বৃষ্টি হলেই ভিতরে পানি পড়ে।

মুসুল্লিরা অনেক কষ্টে নামাজ আদায় করে থাকেন। সচেতন এলাকাবাসী পর্যটক বাড়াতে ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে মসজিদটি সংস্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও শেরপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকায় ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ অবস্থিত। পূর্ব পাশে মসজিদের গায়ে একটি ফার্সি হরফে শিলালিপি রয়েছে। এর বাংলা অনুবাদে বলা হয়েছে, ১৫৮২ সালে নবাব মির্জা মুরাদ খান কাকশালের পৃষ্ঠপোষকতায় খেরুয়া মসজিদ নির্মিত হয়।ওয়ালের পুরুত্ব প্রায় ছয় ফুট। পুরো মসজিদ ছোট ছোট ইট দিয়ে নির্মিত। মূল দরজার দুই পাশে বামে ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। তবে ডান পাশেরটি পাকিস্তানের করাচি জাদুঘরে আছে। ভিতরে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধ গোলাকার মেহরাব ও কার্নিশগুলো বাঁকানো।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

অবহেলায় ৪৪৩ বছরের খেরুয়া মসজিদ

Update Time : 02:55:57 pm, Wednesday, 26 March 2025

বগুড়ার শেরপুরে ৪৪৩ বছরের প্রাচীন (মুঘল আমলে নির্মিত) ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ অবহেলার শিকার। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঐতিহাসিক মসজিদটির দায়িত্ব নিলেও প্রায় তিন যুগ সংস্কার করা হয়নি। তিনটি গম্বুজ ও বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরেছে। মসজিদের বাইরের অংশ মোটামুটি ভালো থাকলেও ভিতরে ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। বৃষ্টি হলেই ভিতরে পানি পড়ে।

মুসুল্লিরা অনেক কষ্টে নামাজ আদায় করে থাকেন। সচেতন এলাকাবাসী পর্যটক বাড়াতে ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে মসজিদটি সংস্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও শেরপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকায় ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ অবস্থিত। পূর্ব পাশে মসজিদের গায়ে একটি ফার্সি হরফে শিলালিপি রয়েছে। এর বাংলা অনুবাদে বলা হয়েছে, ১৫৮২ সালে নবাব মির্জা মুরাদ খান কাকশালের পৃষ্ঠপোষকতায় খেরুয়া মসজিদ নির্মিত হয়।ওয়ালের পুরুত্ব প্রায় ছয় ফুট। পুরো মসজিদ ছোট ছোট ইট দিয়ে নির্মিত। মূল দরজার দুই পাশে বামে ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। তবে ডান পাশেরটি পাকিস্তানের করাচি জাদুঘরে আছে। ভিতরে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধ গোলাকার মেহরাব ও কার্নিশগুলো বাঁকানো।