
বাজারে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত। সরকারের গুদামেও মজুতের কমতি নেই। পাশাপাশি রোজায় শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ একাধিক বাজারে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত। সরকারের গুদামেও মজুতের কমতি নেই। পাশাপাশি রোজায় শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ একাধিকদামে স্বস্তিতে ভোক্তা। রোজায় অতি মুনাফা করতে মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। এতে খুচরা বাজারেও মূল্য বাড়ছে হু হু করে। পরিস্থিতি এমন- কেজিপ্রতি মিনিকেট চাল কিনতে ক্রেতার সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী মো. সিদ্দিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বৈশাখে নতুন মিনিকেট চাল বাজারে ছাড়া হবে। তিনি বলেন, মিল থেকে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট এনে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করছি ৪২৫০ টাকা। যা আগে ৩৯০০ টাকা ছিল। বিআর ২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি করছি ২৮৫০ টাকা ও স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি করছি ২৫৫০-২৬০০ টাকা।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দীদার হোসেন বলেন, মিল মালিকদের কারসাজিতে গত চার মাস ধরে বাজারে অস্থিরতা চলছে। খাদ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, সরকারি গুদামে এর মধ্যে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮৮ টন চাল এবং ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬২ টন গম রয়েছে। বাকিটা ৬২৭৬ টন ধান মজুত আছে। এছাড়া চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নভেম্বরে আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।বাজারে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত। সরকারের গুদামেও মজুতের কমতি নেই।