
রামপুরা বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবারও বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা মঙ্গল-বুধবার এসে ৫ টাকা এবং গতকাল আরও ৫ টাকা বেড়েছে। ফলে সপ্তাহের মধ্যে আলুর কেজি ১০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা ছিল। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভারত থেকে আলু আসছে, তারপরও আলুর সংকট আছে। আলুর আড়তদার মো. সবুজ বলেন, হিমাগারে আলুর সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও ঢলে দুই দফায় আলুর বিজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
একজন ক্রেতা নুরুল করিম বলেন, এক সপ্তাহ আগেই বেগুন ও বরবটির দাম ২০ টাকা কম ছিল। এখন বেড়েছে। ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলো কিছুটা কমেছিল, এখন আবার বাড়ছে। অন্যদিকে কলমিশাক, লালশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন শাকের দামও ৫ টাকা করে (মুঠিতে) বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।অন্যদিকে মসলা পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেশি। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।