
বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকা পালিয়ে যায়। অত:পর বিশ্বাস করে বন্ধুর কাছে নিজ প্রেমিকাকে রেখে কাজীকে ডাকতে যান ওই প্রেমিক। এই সুযোগে ওই বন্ধুই বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে গিয়ে শেষ অক্ষা হয়নি তাদের। ধরা পড়ে যায় ওই বন্ধু এবং সেই সঙ্গে অপহরণের মামলায় বর্তমানে প্রেমিক ও তার বন্ধু দুজনই কারাগারে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে।সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল কুদ্দসের ছেলে আটোরিকশা চালক হাসান (২৯)। তার সঙ্গে একই এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠার এক পর্যায়ে হাসান ও তার কিশোরী প্রেমিকা পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সোমবার প্রেমিক হাসানের বন্ধু ইলিয়াস খান (২৩) তাদের বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করে এবং তারা দুজনেই আসে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে।
সেখানে নিজ বন্ধু ইলিয়াসের কাছে তার প্রেমিকাকে রেখে হাসান কাজী আনতে যায়। এ সুযোগে ইলিয়াস বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর প্রেমিক হাসান শত চেষ্টা করেও নিজ প্রেমিকা ও বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়। এরপর গত শুক্রবার দুপুরে ইলিয়াস ও তার বন্ধু হাসানের প্রেমিকা ভান্ডারিয়া বাজারে কেনাকাটা করতে আসলে তারা স্বজনদের কাছে ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ডের চৌকিদার জামাল আকন শুক্রবার বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অপহরণের মামলা করেন। ওইদিন রাতেই হাসান ও ইলিয়াস দুই বন্ধুকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমেদ আনওয়ার বলেন, ‘কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় হাসান ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’