Dhaka 12:03 am, Saturday, 24 May 2025

পা অবশ হয়ে যায়? এই ৫ সমস্যা দায়ী নয় তো

হঠাৎ পা অবশ হওয়ার মতো সমস্যা হলে বিষয়টি অবহেলা করা ঠিক নয়। এ সমস্যায় মনে করতে হবে, স্বাস্থ্যজনিত অন্তির্নিহিত কোনো সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা থেকেও পা অবশ হওয়ার সমস্যা হয়।এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম । এবার তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো-

ডায়াবেটিস এবং পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির জন্য প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। এটি এমন রোগ, যেখানে রক্তে উচ্চ শর্করার পরিমাণ স্নায়ুকে ধ্বংস করে দেয়। ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সরবরাহ ও স্নায়ুর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা থেকে পা অবশ হয়।

ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি১২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি হলে স্নায়ু নষ্ট হয় এবং যা থেকে পা অসাড় হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ না করলে পা ঝিমঝিম করা, পেশী দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (এমএস): ভারতের নয়ডার ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোলজির সহযোগী পরিচালক ডা. মণীশ গুপ্তের মতে, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস স্নায়ুতন্ত্রকে টার্গেট করে। এটি এমন অটোইমিউন রোগ, যা স্নায়ু তন্ত্রের চারপাশের প্রতিরক্ষামূলক আবরণ ধ্বংস করে।

সায়াটিকা এবং হার্নিয়েটেড ডিস্ক: সায়াটিকা তখনই হয় যখন কোনো কিছু সায়াটিক স্নায়ুকে সংকুচিত করে। যা পিঠের নিচের অংশ থেকে পা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর সাধারণ কারণ হচ্ছে মেরুদণ্ডে ফুলে যাওয়া হার্নিয়েটেড ডিস্ক।

স্ট্রোক এবং ক্ষণস্থায়ী ইস্কেমিক আক্রমণ এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণে ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পা অবশ হয়ে যায়? এই ৫ সমস্যা দায়ী নয় তো

Update Time : 02:48:43 pm, Monday, 17 February 2025

হঠাৎ পা অবশ হওয়ার মতো সমস্যা হলে বিষয়টি অবহেলা করা ঠিক নয়। এ সমস্যায় মনে করতে হবে, স্বাস্থ্যজনিত অন্তির্নিহিত কোনো সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা থেকেও পা অবশ হওয়ার সমস্যা হয়।এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম । এবার তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো-

ডায়াবেটিস এবং পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির জন্য প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। এটি এমন রোগ, যেখানে রক্তে উচ্চ শর্করার পরিমাণ স্নায়ুকে ধ্বংস করে দেয়। ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সরবরাহ ও স্নায়ুর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা থেকে পা অবশ হয়।

ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি১২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি হলে স্নায়ু নষ্ট হয় এবং যা থেকে পা অসাড় হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ না করলে পা ঝিমঝিম করা, পেশী দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (এমএস): ভারতের নয়ডার ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোলজির সহযোগী পরিচালক ডা. মণীশ গুপ্তের মতে, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস স্নায়ুতন্ত্রকে টার্গেট করে। এটি এমন অটোইমিউন রোগ, যা স্নায়ু তন্ত্রের চারপাশের প্রতিরক্ষামূলক আবরণ ধ্বংস করে।

সায়াটিকা এবং হার্নিয়েটেড ডিস্ক: সায়াটিকা তখনই হয় যখন কোনো কিছু সায়াটিক স্নায়ুকে সংকুচিত করে। যা পিঠের নিচের অংশ থেকে পা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর সাধারণ কারণ হচ্ছে মেরুদণ্ডে ফুলে যাওয়া হার্নিয়েটেড ডিস্ক।

স্ট্রোক এবং ক্ষণস্থায়ী ইস্কেমিক আক্রমণ এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণে ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।