
মার্কিন মহাকাশ কমান্ডের প্রধান সতর্ক করে দিয়েছেন যে, চীনের স্যাটেলাইট-বিরোধী অস্ত্রের সম্প্রসারণ ওয়াশিংটনকে কক্ষপথে প্রতিরক্ষা ত্বরান্বিত করতে বাধ্য করছে। তিনি এ হুমকিকে ‘বাস্তব’ এবং তাৎক্ষণিক বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের প্রেক্ষিতে জেনারেল স্টিফেন হোয়াইটিং বৃহস্পতিবার শিকাগোতে একটি পাবলিক ফোরামে বলেন যে, গত তিন দশক ধরে আমেরিকান মহাকাশ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য চীন যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তার প্রতিক্রিয়ায় গোল্ডেন ডোম নামে পরিচিত উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি করা হচ্ছে।
‘তারা আমাদের মহাকাশ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলার জন্য সক্ষমতা তৈরি করেছে,’ তিনি বলেন, ‘তার জন্য আমরাও যে প্রস্তুত আছি তা নিশ্চিত করার অংশ হিসাবেই এই গোল্ডেন ডোমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
হোয়াইটিং বলেন যে, বেইজিংয়ের কৌশলের মধ্যে রয়েছে কক্ষপথে অস্ত্র মোতায়েন করা, জ্যামিং সিস্টেম তৈরি করা এবং গতিশীল উপগ্রহ-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা – যার সবকটিই একটি সংকটের সময় মার্কিন সামরিক অভিযানকে অন্ধ এবং ব্যাহত করার স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে।
‘চীনের বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাশ শক্তি হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে,’ তিনি বলেন, ‘এবং তারা পদক্ষেপের মাধ্যমে এটিকে সমর্থন করছে।’
গত মঙ্গলবার (২০ মে) এ ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এর নকশাও বাছাই করেছেন। এই প্রকল্প খরচ হবে মার্কিন কোষাগারের ১৭৫ বিলিয়ন ডলার বা ২১ লাখ কোটি টাকা। এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন হতে যাচ্ছে সেই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য নকশা বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদের শেষের দিকে তা কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সিস্টেমে ভূমি, সমুদ্র এবং মহাকাশে ‘পরবর্তী প্রজন্মের’ প্রযুক্তি থাকবে। এই তালিকায় রয়েছে মহাকাশভিত্তিক সেন্সর এবং ইন্টারসেপ্টর। গোল্ডেন ডোমের বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, ঐ সিস্টেম ‘বিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বা মহাকাশ থেকে লঞ্চ করা ক্ষেপণাস্ত্রকেও বাধা দিতে পারবে।’ এই ব্যবস্থা কিছুটা ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’ থেকে অনুপ্রাণিত।