Dhaka 9:28 am, Tuesday, 25 March 2025

ঋণের চাপে বিশ্ব অর্থনীতি

সংকটে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ঋণ।

ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ঋণ। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঋণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ধনী দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বভৌম ঋণ ও করপোরেট বন্ড মিলে বিশ্বজুড়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এসব ঋণের সুদহার বেড়ে চলায় তা পরিশোধ ঋণগ্রহীতাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ডেট রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ওইসিডিভুক্ত দেশে ঋণ পরিশোধ বাবদ খরচ জিডিপির ৩.৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ২.৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, একই দেশগুলো ২০২৩ সালে সামরিক খাতে মোট জিডিপির ২.৪ শতাংশ ব্যয় করেছে।ওইসিডি সতর্ক করে বলেছে, উচ্চ সুদহার ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার সক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে।অথচ ওই সময় বিনিয়োগের প্রয়োজন আগের তুলনায় বেশি হতে পারে। তাই বৈশ্বিক ঋণ বাজারের সম্ভাব্য ‘কঠিন পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোয় ঋণ গ্রহণ ২০২৫ সালে ১৭ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০২৩ সালে ছিল ১৪ লাখ কোটি ডলার।গত বছর ওইসিডি সরকারগুলোর নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার,

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ঋণের চাপে বিশ্ব অর্থনীতি

Update Time : 02:53:49 pm, Sunday, 23 March 2025
ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ঋণ। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঋণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ধনী দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বভৌম ঋণ ও করপোরেট বন্ড মিলে বিশ্বজুড়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এসব ঋণের সুদহার বেড়ে চলায় তা পরিশোধ ঋণগ্রহীতাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ডেট রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ওইসিডিভুক্ত দেশে ঋণ পরিশোধ বাবদ খরচ জিডিপির ৩.৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ২.৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, একই দেশগুলো ২০২৩ সালে সামরিক খাতে মোট জিডিপির ২.৪ শতাংশ ব্যয় করেছে।ওইসিডি সতর্ক করে বলেছে, উচ্চ সুদহার ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার সক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে।অথচ ওই সময় বিনিয়োগের প্রয়োজন আগের তুলনায় বেশি হতে পারে। তাই বৈশ্বিক ঋণ বাজারের সম্ভাব্য ‘কঠিন পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোয় ঋণ গ্রহণ ২০২৫ সালে ১৭ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০২৩ সালে ছিল ১৪ লাখ কোটি ডলার।গত বছর ওইসিডি সরকারগুলোর নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার,