
পূর্ব সুন্দরবনে শরীফ বাহিনী নামে নতুন করে আরও একটি বনদস্যু বাহিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সোমবার (৩ মার্চ) মধ্যরাতে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে এক জেলেকে অপহরণের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় বনদস্যু শরীফ বাহিনী।ওই দস্যু বাহিনীর হাতে অপহৃত জেলের নাম মো. ইয়াসিন (৩০)। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে। তিনি সুন্দরবনের শ্যালার চর শুঁটকিপল্লির মৎস্য ব্যবসায়ী খুলনার মিঠু কমিশনারের ট্রলারের মাঝি।
সুন্দরবনের দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২৬ জানুয়ারি সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ শুঁটকিপল্লি আলোকোলের ১৫ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু দয়াল বাহিনী। অপহৃত এসব জেলের প্রত্যেকে দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে বনদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পান।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সদস্য মৎস্য ব্যবসায়ী মিঠু বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোনে জানান, সোমবার রাতে সুন্দরবনের টিয়ার চর এলাকায় মাছ ধরছিল তার জেলেরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সশস্ত্র বনদস্যুরা একটি ট্রলারে এসে জেলেদের ট্রলারে হানা দেয়। বনদস্যুরা ট্রলারে উঠে প্রথমে জেলেদের মারপিট শুরু করে। পরে ট্রলারের মাঝি মো. ইয়াসিনকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এসময় তারা নিজেদেরকে নতুন আত্মপ্রকাশ করা বনদস্যু শরীফ বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেয়। দস্যুরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল দিয়ে গেছে সঙ্গী অপর জেলেদের কাছে। এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। তবে এর আগে এই নামে কোনো বনদস্যু বাহিনীর নাম শোনা যায়নি বলে জানান এই মৎস্য ব্যবসায়ী।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালারচর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার দিলীপ মজুমদার নতুন বনদস্যু বাহিনীর হাতে জেলে অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই জেলে অপহরণের ঘটনার পর থেকে শ্যালারচরের জেলেদের মাঝে নতুন করে বনদস্যু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।