
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়, তবে তার পুরস্কারের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষে প্রতি বছর জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই পুরস্কার ১৯৭৭ সালে প্রবর্তন করা হয়। সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩২৪ জন ব্যক্তি ও ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে।