Dhaka 7:15 am, Tuesday, 20 May 2025

মাদারীপুরের কালকিনিতে পাঁচ কোটি টাকার ব্রীজে মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ

মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ

পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ের ব্রীজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৫ গ্রামের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড ও ৮নং ওর্য়াডের সূর্যমনি বাজরের দক্ষিন পাশে খালের উপর অবস্থিত ব্রীজটি। ব্রীজের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওঠানামা করতে হয় এলাকাবাসীর। এতে করে তাদের যাতায়াতে যেমন অনেক সময় লেগে যায়, ঠিক
তেমনি বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে নানান রকমের দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নারী শিশু
বৃদ্ধাসহ নানান বয়সের মানুষ।

স্থানীয়দের থেকে যানা যায়, সূর্যমনি বাজারে ব্রীজের দক্ষিণ- পশ্চিম পাড়ে রায়পুর, ভাটিবালি, চরভাটা বলি, সস্তাল পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক হয়ে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে।বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে যাওয়ার এই একটি পথ দিয়েই ব্রীজের উপর থাকা বাঁশে সাঁকো দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পারি দিয়ে যেতে হয়। তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

ব্রীজটির বিষয়ে তথ্য নিতে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে গেলে যানা যায়, ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ৭.৩২ মিটার প্রস্থের পাঁচ কোটি টাকার ব্রীজটি ১৯ শে জানুয়ারী ২০২২ শে কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ/ম হামিম ইন্টারন্যাশনাল। এর পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজের কাজ শেষ করলেও উত্তর-পূর্ব পাড়ে বাজারের পাশের অংশের সংযোগ সড়কের জমির উপরে একটি গাছ কাটার মিল ও দোকান ঘর থাকায় আজও সংযোগ সড়কটি করা সম্ভব হয়নি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মাদারীপুরের কালকিনিতে পাঁচ কোটি টাকার ব্রীজে মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ

Update Time : 07:36:44 pm, Wednesday, 19 February 2025

পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ের ব্রীজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৫ গ্রামের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড ও ৮নং ওর্য়াডের সূর্যমনি বাজরের দক্ষিন পাশে খালের উপর অবস্থিত ব্রীজটি। ব্রীজের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওঠানামা করতে হয় এলাকাবাসীর। এতে করে তাদের যাতায়াতে যেমন অনেক সময় লেগে যায়, ঠিক
তেমনি বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে নানান রকমের দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নারী শিশু
বৃদ্ধাসহ নানান বয়সের মানুষ।

স্থানীয়দের থেকে যানা যায়, সূর্যমনি বাজারে ব্রীজের দক্ষিণ- পশ্চিম পাড়ে রায়পুর, ভাটিবালি, চরভাটা বলি, সস্তাল পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক হয়ে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে।বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে যাওয়ার এই একটি পথ দিয়েই ব্রীজের উপর থাকা বাঁশে সাঁকো দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পারি দিয়ে যেতে হয়। তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

ব্রীজটির বিষয়ে তথ্য নিতে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে গেলে যানা যায়, ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ৭.৩২ মিটার প্রস্থের পাঁচ কোটি টাকার ব্রীজটি ১৯ শে জানুয়ারী ২০২২ শে কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ/ম হামিম ইন্টারন্যাশনাল। এর পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজের কাজ শেষ করলেও উত্তর-পূর্ব পাড়ে বাজারের পাশের অংশের সংযোগ সড়কের জমির উপরে একটি গাছ কাটার মিল ও দোকান ঘর থাকায় আজও সংযোগ সড়কটি করা সম্ভব হয়নি।