Dhaka 4:01 pm, Friday, 23 May 2025

বিয়ের আগে বর-কনের যে ৪ টেস্ট

সুখী দাম্পত্যের ইঙ্গিত পাওয়ার আশা ।

বিয়ের আগে অনেক পরিবারই কনে ও বর-এর রাশিফল মিলিয়ে দেখে। ভবিষ্যতের সুখী দাম্পত্যের ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় এটা করা হয়। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যায় – সেটা হল হবু বর-কনের শারীরিক স্বাস্থ্য।

বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা:এই টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় মহিলার ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য কেমন। বন্ধ্যত্বের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ না থাকায় এটি আগেভাগে জানা কঠিন। ভবিষ্যতে যদি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই টেস্ট অনেক সাহায্য করতে পারে।

রক্তের গ্রুপের মিল:অনেকেই বিষয়টি গুরুত্ব দেন না, কিন্তু সন্তান নিতে চাইলে রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর (রিসাস ফ্যাক্টর) মিল থাকা জরুরি। আরএইচ অসামঞ্জস্য থাকলে গর্ভাবস্থায় জটিলতা তৈরি হতে পারে, এমনকি দ্বিতীয় সন্তানের জন্য তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।

বংশগত রোগের টেস্ট:অনেক রোগ আছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে, যেমন স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস। এগুলোর জন্য আগেভাগেই টেস্ট করিয়ে রাখা ভালো। তাতে প্রয়োজনে আগাম চিকিৎসাও শুরু করা যায়।

যৌনবাহিত রোগের টেস্ট:বর্তমানে বিবাহের আগেই অনেকেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তাই উভয়েরই এসটিডি টেস্ট করানো জরুরি। এই টেস্টে জানা যায় এইচআইভি এইডস, গনোরিয়া, হার্পিস, সিফিলিস, হেপাটাইটিস সি-র মতো রোগ আছে কি না। এগুলোর কিছু কিছু আজীবন থেকে যায় ও জীবনসংকট তৈরি করতে পারে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বিয়ের আগে বর-কনের যে ৪ টেস্ট

Update Time : 02:21:25 pm, Sunday, 13 April 2025

বিয়ের আগে অনেক পরিবারই কনে ও বর-এর রাশিফল মিলিয়ে দেখে। ভবিষ্যতের সুখী দাম্পত্যের ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় এটা করা হয়। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যায় – সেটা হল হবু বর-কনের শারীরিক স্বাস্থ্য।

বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা:এই টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় মহিলার ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য কেমন। বন্ধ্যত্বের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ না থাকায় এটি আগেভাগে জানা কঠিন। ভবিষ্যতে যদি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই টেস্ট অনেক সাহায্য করতে পারে।

রক্তের গ্রুপের মিল:অনেকেই বিষয়টি গুরুত্ব দেন না, কিন্তু সন্তান নিতে চাইলে রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর (রিসাস ফ্যাক্টর) মিল থাকা জরুরি। আরএইচ অসামঞ্জস্য থাকলে গর্ভাবস্থায় জটিলতা তৈরি হতে পারে, এমনকি দ্বিতীয় সন্তানের জন্য তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।

বংশগত রোগের টেস্ট:অনেক রোগ আছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে, যেমন স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস। এগুলোর জন্য আগেভাগেই টেস্ট করিয়ে রাখা ভালো। তাতে প্রয়োজনে আগাম চিকিৎসাও শুরু করা যায়।

যৌনবাহিত রোগের টেস্ট:বর্তমানে বিবাহের আগেই অনেকেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তাই উভয়েরই এসটিডি টেস্ট করানো জরুরি। এই টেস্টে জানা যায় এইচআইভি এইডস, গনোরিয়া, হার্পিস, সিফিলিস, হেপাটাইটিস সি-র মতো রোগ আছে কি না। এগুলোর কিছু কিছু আজীবন থেকে যায় ও জীবনসংকট তৈরি করতে পারে।