Dhaka 5:41 pm, Saturday, 15 March 2025

গুলশানে হোটেল পার্ক ভিউতে পুলিশের অভিযানের পরও আবারো তানভীরের নারী সিন্ডিকেট!

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল ও গেষ্ট হাউজ পার্ক ভিউর সমাজের অপৃত্তিকর ঘটনা নিয়ে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে গুলশান থানা পুলিশ হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। তবু তানভীরের নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা থেমে নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হোটেলটির মূল মালিক বিগত স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের এক নেতার এবং তৎকালীন সময়ে গড়ে উঠেছিল বিলাশবহুল হোটেল পার্ক ভিউ। তবে হোটেলের মূল মালিকের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

হোটেলটির পার্টনারশিপ কয়েকজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। এরমধ্যে তানভীর অন্যতম। তার বনানীতেও এসব অবৈধ হোটেল ব্যবসা রয়েছে। আবার শোনা গেছে তিনি গুলশান থানার ওসির চাচাতো ভাই পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথেই রয়েছেন।

হোটেলটি গুলশান-২, রোড নং ৬৮/এ ১৫ নং বাড়িটিতে অবস্থিত। জনা গেছে, বিলাশবহুল হোটেলটিতে অসংখ্য নারী ও পুরুষের সমাগমে চালিয়ে আসছে ডিজে, জুয়া, নারী বাণিজ্যসহ মাদকের আসর। তানভীর এসব বিষয়ে আরো বলেন, ওসিকে বললে আমার তেমন কোন সমস্যা নেই। এমনকি বর্তমান দেশের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সাথেও আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে তারা এগুলো দেখবে।

তাই এসব বিষয় নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমরা এতদিন জানতাম পুলিশ জনসাধারনের বন্ধু কিন্তু তার ব্যবহারে এখনো পুলিশের পূর্বের আচারন ফিরে পায়নি। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জনসাধারন অভিযোগ করেন। এসব ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গুলশান থানার পুলিশের জনসেবার মান নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সমাজের সাশন ব্যবস্থা এমন চলতে থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে এবং গণমাধ্যমকর্মীরা বিপাকে পরবে বলে আশা করা যায়। যেখানে বর্তমান পুলিশের সততা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে একটি শু-সম্পর্ক থাকা জরুরী। অথচ সেখানে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পুলিশের আচারন এমনটা হয়ে পরেছে যা জনসাধারনও বিপাকে পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জনসাধারন ভেবে ছিল স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পুলিশের মধ্যে একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা চলে আসবে। কিন্তু আসলে কি তাই।

সম্প্রত্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে বø্যাকমেইলের নামে চলছে নারী বাণিজ্য। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রæপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাÐ, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে তাদের নিয়ন্ত্রনে। যদি কেউ যদি ঘণ্টা হিসেবে রমনীদের নিয়ে রুম ভাড়া চান সেটি মিলছে এখানে। কিন্তু তানভীর বলছে, আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। আপনারা চাইলে থানার ওসির নিকট জেনে নিতে পারেন আমি কে?

অপদিকে পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য হোটেলের নামে পতিতালয় স্থাপন করে তা চালিয়ে যাচ্ছে নির্ভিগ্নে। পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে আহŸান করে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনে ও না জনার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে। তারা তাদের হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এবিষয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, ভাই এসবের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ এধরনের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অপরাধীদের কোন ছাড় নয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গুলশানে হোটেল পার্ক ভিউতে পুলিশের অভিযানের পরও আবারো তানভীরের নারী সিন্ডিকেট!

Update Time : 08:38:00 pm, Wednesday, 6 November 2024

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল ও গেষ্ট হাউজ পার্ক ভিউর সমাজের অপৃত্তিকর ঘটনা নিয়ে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে গুলশান থানা পুলিশ হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। তবু তানভীরের নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা থেমে নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হোটেলটির মূল মালিক বিগত স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের এক নেতার এবং তৎকালীন সময়ে গড়ে উঠেছিল বিলাশবহুল হোটেল পার্ক ভিউ। তবে হোটেলের মূল মালিকের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

হোটেলটির পার্টনারশিপ কয়েকজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। এরমধ্যে তানভীর অন্যতম। তার বনানীতেও এসব অবৈধ হোটেল ব্যবসা রয়েছে। আবার শোনা গেছে তিনি গুলশান থানার ওসির চাচাতো ভাই পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথেই রয়েছেন।

হোটেলটি গুলশান-২, রোড নং ৬৮/এ ১৫ নং বাড়িটিতে অবস্থিত। জনা গেছে, বিলাশবহুল হোটেলটিতে অসংখ্য নারী ও পুরুষের সমাগমে চালিয়ে আসছে ডিজে, জুয়া, নারী বাণিজ্যসহ মাদকের আসর। তানভীর এসব বিষয়ে আরো বলেন, ওসিকে বললে আমার তেমন কোন সমস্যা নেই। এমনকি বর্তমান দেশের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সাথেও আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে তারা এগুলো দেখবে।

তাই এসব বিষয় নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমরা এতদিন জানতাম পুলিশ জনসাধারনের বন্ধু কিন্তু তার ব্যবহারে এখনো পুলিশের পূর্বের আচারন ফিরে পায়নি। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জনসাধারন অভিযোগ করেন। এসব ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গুলশান থানার পুলিশের জনসেবার মান নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সমাজের সাশন ব্যবস্থা এমন চলতে থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে এবং গণমাধ্যমকর্মীরা বিপাকে পরবে বলে আশা করা যায়। যেখানে বর্তমান পুলিশের সততা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে একটি শু-সম্পর্ক থাকা জরুরী। অথচ সেখানে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পুলিশের আচারন এমনটা হয়ে পরেছে যা জনসাধারনও বিপাকে পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জনসাধারন ভেবে ছিল স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পুলিশের মধ্যে একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা চলে আসবে। কিন্তু আসলে কি তাই।

সম্প্রত্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে বø্যাকমেইলের নামে চলছে নারী বাণিজ্য। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রæপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাÐ, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে তাদের নিয়ন্ত্রনে। যদি কেউ যদি ঘণ্টা হিসেবে রমনীদের নিয়ে রুম ভাড়া চান সেটি মিলছে এখানে। কিন্তু তানভীর বলছে, আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। আপনারা চাইলে থানার ওসির নিকট জেনে নিতে পারেন আমি কে?

অপদিকে পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য হোটেলের নামে পতিতালয় স্থাপন করে তা চালিয়ে যাচ্ছে নির্ভিগ্নে। পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে আহŸান করে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনে ও না জনার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে। তারা তাদের হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এবিষয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, ভাই এসবের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ এধরনের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অপরাধীদের কোন ছাড় নয়।