Dhaka 11:47 pm, Saturday, 24 May 2025

সায়মার অ্যাপ দিচ্ছে মনিটরিং সিস্টেম

ছয় মাসের চেষ্টায় মনিটরিং ।

স্বামীর আইডিয়া আর নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ছয় মাসের চেষ্টায় মনিটরিংয়ের একটি চমৎকার অ্যাপস তৈরি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী সায়মা ছিদ্দিকা সিমু। ‘স্মার্ট মনিটরিং অ্যাপস’ নামক এ অ্যাপটিই তাঁর স্বামী জিয়াউল কাদেরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনিটরিংয়ের সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, যা এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।

বিষয়টি নিয়ে তাঁর স্বামী সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদেরের সঙ্গে পরামর্শ করতে আসেন তিনি। কিছুদিন ধরে তাঁর মাথায় ঘুরছিল যেখানেই তিনি থাকেন, সেখান থেকে কী উপায়ে নিজের কর্মীদের মনিটর করা যায়? তাই স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বললেন, সম্ভব হলে কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য একটি স্মার্ট অ্যাপস তৈরি করা দরকার।কিন্তু কী বিষয়ে অ্যাপস তৈরি করব, তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এ কথা শেয়ার করি আমার স্বামী জিয়াউল কাদেরের সঙ্গে। তখন তিনি আমাকে বলেন, আমিও তো ভাবছি একটি অ্যাপস তৈরি করা যায় কি না। এমন একটি অ্যাপস হবে, যেটি দিয়ে আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মনিটর করা যাবে।’ শেষে জিয়াউল তাঁর পরিকল্পনা জানালে প্রথমে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে স্টাডি শুরু করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ আরম্ভ করে আগস্টে শেষ করেন। প্রতিদিন স্বামীকে পাশে বসিয়েই অ্যাপসের কাজ করতেন সিমু। জিয়াউল তাঁর যে পরিকল্পনা বলতেন, অ্যাপসে সিমু তা বাস্তবায়ন করেছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সায়মার অ্যাপ দিচ্ছে মনিটরিং সিস্টেম

Update Time : 03:51:19 pm, Sunday, 16 March 2025
স্বামীর আইডিয়া আর নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ছয় মাসের চেষ্টায় মনিটরিংয়ের একটি চমৎকার অ্যাপস তৈরি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী সায়মা ছিদ্দিকা সিমু। ‘স্মার্ট মনিটরিং অ্যাপস’ নামক এ অ্যাপটিই তাঁর স্বামী জিয়াউল কাদেরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনিটরিংয়ের সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, যা এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।

বিষয়টি নিয়ে তাঁর স্বামী সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদেরের সঙ্গে পরামর্শ করতে আসেন তিনি। কিছুদিন ধরে তাঁর মাথায় ঘুরছিল যেখানেই তিনি থাকেন, সেখান থেকে কী উপায়ে নিজের কর্মীদের মনিটর করা যায়? তাই স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বললেন, সম্ভব হলে কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য একটি স্মার্ট অ্যাপস তৈরি করা দরকার।কিন্তু কী বিষয়ে অ্যাপস তৈরি করব, তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এ কথা শেয়ার করি আমার স্বামী জিয়াউল কাদেরের সঙ্গে। তখন তিনি আমাকে বলেন, আমিও তো ভাবছি একটি অ্যাপস তৈরি করা যায় কি না। এমন একটি অ্যাপস হবে, যেটি দিয়ে আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মনিটর করা যাবে।’ শেষে জিয়াউল তাঁর পরিকল্পনা জানালে প্রথমে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে স্টাডি শুরু করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ আরম্ভ করে আগস্টে শেষ করেন। প্রতিদিন স্বামীকে পাশে বসিয়েই অ্যাপসের কাজ করতেন সিমু। জিয়াউল তাঁর যে পরিকল্পনা বলতেন, অ্যাপসে সিমু তা বাস্তবায়ন করেছেন।