
নাগরিক সেবা বাড়াতে প্রায় ৯ বছর আগে ১১৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড গঠন করে উত্তর সিটি করপোরেশন। সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও নাগরিক সুবিধা একেবারেই মেলে না এসব এলাকার বাসিন্দাদের।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের একপাশে উত্তরার মতো বেশ পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। আর উল্টো পাশটার বাসিন্দাদের জোটে না প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধার শিকি-ভাগটাও। কাগজে কলমে সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা হলেও প্রতিটি সড়কে নিত্যদিনের ভোগান্তি। পড়ে থাকা কাজের কারণে বাড়ছে মশার উপদ্রব আর সঙ্গে ইউটিলিটি সেবা না পেয়েও বছরের পর বছর বিল দিয়ে যাবার তীব্র আক্ষেপ।
বাসিন্দারা বলছেন, সিটি করপোরেশন ট্যাক্স ঠিকই নিচ্ছে। কিন্তু উত্তরখান ও দক্ষিণখানবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। এ এলাকায় বাসাবাড়ি করেও বিপদে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিকল্পিত আধুনিক নগরের স্বপ্ন দেখিয়ে ২০১৬ সালের মে মাসে সাঁতারকুল, বেরাইদ, ডুমনি, মধ্যবাড্ডা, হরিরামপুর, উত্তরখান এবং দক্ষিণখান ইউনিয়ন ভেঙে নতুন করে উত্তর সিটিতে যুক্ত করা হয় ১৮টি নতুন ওয়ার্ড। প্রায় ৯ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া যেমন লাগেনি বেশিরভাগ এলাকায় তেমনি কাজের মন্থরতা ও মান নিয়েও ক্ষোভের শেষ নেই বাসিন্দাদের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে , এসব এলাকার সড়কের ভূমি অধিগ্রহণেই প্রায় ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।