
যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদের অনেকেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশ করেছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসন এসব শিক্ষার্থীদের ‘ইহুদিবিরোধী মনোভাব ছড়ানো’ ও হামাসের প্রতি ‘সহানুভূতিশীলতা’ দেখানোর অভিযোগে টার্গেট করেছে—যা ভুক্তভোগীরা, আইনজীবীরা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরাসরি নাকচ করেছেন। অনেক বিক্ষোভে ইহুদি অধিকারকর্মীরাও অংশ নিয়েছিলেন।
ভিসা বাতিলের পেছনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো ঘটনাও কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার কারও ভিসা বাতিলের কারণ স্পষ্ট নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মতে, এ সংখ্যা প্রায় ৩০০ হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি।
-
আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন-এর তথ্য অনুযায়ী, ৪,৭০০–এর বেশি শিক্ষার্থী বাদ পড়েছেন।
-
ইনসাইড হাইয়ার এড-এর মতে, এ সংখ্যা ১,৪৮৯ জন।
-
NAFSA–র হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ১,৪০০ জন শিক্ষার্থী বিতাড়নের হুমকির মুখে।
প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, ওহাইও স্টেট ও ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের মতো নামী প্রতিষ্ঠান। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ‘অধিকারকর্মী আমদানি’ ঠেকাতে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ‘উস্কানিমূলক’ কর্মকাণ্ড রোধ করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।