
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে তেঁতুল খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার গায়ে এক যুবককে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদাল।মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল–১ আদালতের বিচারক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন হত্যাকান্ডের শিকার তাওহিদা ইসলাম ইলমা (৯) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামেরমোঃ দেলোয়ার হোসেনের কন্যা
আরো পড়ুন:ময়মনসিংহ-কুমিল্লার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
দন্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী বাপ্পি একই এলাকার মোঃ জাকারিয়ার পুত্র।রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।
মামলার বিবরনের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে তাহিদা ইসলাম ইলমা বাসার সামনে খেলছিলো।এ সময় প্রতিবেশী আসামী বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ইলমাকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং গলায় ওড়না পিছিয়ে শ্বাস রোদে হত্যা করে।পরে মরদেহটি কাঁথা পেঁচিয়ে পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়।পরদিন ইলমার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা।
আরো পড়ুন:জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, যা জানাল ডিএমপি
এ ঘটনায় ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।পুলিশ আসামী বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।পরে ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকাজরিমানার নির্দেশ দেন।এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এপিপি এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন। আসামী পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এডভোকেট মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন- এ রায়ে আসামীপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুদ্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।