
সরকারের ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ প্রতিবন্ধকতার বৃত্তে আটকে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ। যে কারণে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে, বিনিয়োগও বাড়েনি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাধা শনাক্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ‘পালটা শুল্ক’ আরোপ মোকাবিলায় এসব নীতিগত বাধা দূর করতে কাজ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া ইউনাইটেড স্টেটস অব ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।সংশ্লিষ্টদের মতে, ইতোমধ্যে পোশাক খাতের বেশ কিছু অর্ডার বাতিল হয়েছে। ফলে পুরনো মূল্যে এসব পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এজন্য দেশটির কৃষিভিত্তিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।আজ (বুধবার) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, এটি সমাধানের জন্য আমরা সর্বোত্তম চেষ্টা করছি। এছাড়া টিকফাতে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।এ প্রসঙ্গে সাবেক বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে জানান, ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি সমাধানের অফিশিয়াল ফোরাম হচ্ছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা)। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই সময় বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে আমি স্বাক্ষর করেছিলাম। টিকফা চুক্তিতে একটি বিধানে বলা আছে উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত কোনো জটিল সমস্যার মুখে পড়লে সেটি সমাধানের লক্ষ্যে জরুরিভিত্তিতে টিকফা ফোরামের বৈঠক আহ্বান করা যাবে।