
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন সকাল হলেই ময়লা টানতে বের হয় হাজারো শিশু। ১৩ বছরের ইয়াসিন কিংবা ১০ বছরের জাহিদের মতো শিশুরা স্কুল নয়, কাজ করে বর্জ্য সংগ্রহকারী ভ্যানে সহকারী হিসেবে। কাফরুল, কড়াইল, শেওড়াপাড়াসহ নানা এলাকায় এমন চিত্র সাধারণ।
ভ্যানচালক বা ‘মহাজন’দের সহকারী হিসেবে শিশুরা ভবন থেকে ময়লা নামিয়ে এনে এসটিএসে পৌঁছে দেয়। বিনিময়ে তারা মাসে গড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতন পায়। ভাঙারি আলাদা করে বিক্রি করে আয় বাড়ানোর সুযোগও থাকে।
বর্জ্য টানা শিশুরা কাজ করে কোনো সুরক্ষা ছাড়াই। ভাঙা কাচ, ব্লেড, চিকিৎসাবর্জ্যের মধ্যেও অনায়াসে কাজ করতে দেখা যায় তাদের। এতে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, অপুষ্টি, এমনকি মাদকাসক্তিতে ঝুঁকি বাড়ে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখের বেশি শিশুশ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি কাজ করছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে। অনেকে কখনো স্কুলে যায়নি, আর অনেকে আর্থিক চাপের কারণে পড়াশোনা ছেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের এই কাজ থেকে সরাতে হলে শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও বিকল্প আয়ের সুযোগ। সরকার শিশুশ্রম নিবন্ধন শুরু করলেও এখনো নীতিগত ও সমন্বিত কার্যক্রমের ঘাটতি রয়েছে।