
রমজান মাসে যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না। এ দীর্ঘ সময়ে অনেক কিছুকেই রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সাধারণ মুসলমানরা। কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রোজা ভাঙার মূল কারণ আসলে পাঁচটি।
মুখের লালা যদি পেটে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে; এটি একটি বহুল চর্চিত কথা।এই প্রচলিত ধারণার কারণে রমজানে মানুষ যেখানে সেখানে থু থু ফেলে। এতে করে রোজাদার ব্যক্তিটি একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি করছেন, অন্যদিকে তিনি পাশের মানুষকেও অস্বস্তিতে ফেলছেন।
দাঁত ব্রাশ করা যাবে না
অনেকে বলেন, রোজা রাখা অবস্থায় দাঁতও ব্রাশ করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘ সময় দাঁত ব্রাশ না করার কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয় এবং তাতে কথা বলার সময় চারপাশে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এই গন্ধ বিষয়ে অনেক রোজাদারকে বলতে শোনা যায়,
দাড়ি কামানো যাবে না
রোজা রাখলে পুরুষরা দিনে দাড়ি কামাতে পারবেন না, এমন একটি মিথও প্রচলিত আছে।কিন্তু বাস্তবে তারা যেকোনো সময়েই দাড়ি কামাতে পারবেন।
রমজানে যৌন সম্পর্ক করা যাবে না
কেউ কেউ মনে করেন, পুরো রমজান মাসে সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিধিনিষেধ শুধুমাত্র রোজা থাকা অবস্থায়। অনেকের মতে, রোজা রেখে সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না।
রোজা রেখে ধূমপান করা যাবে
তাই রোজা রাখা অবস্থায় ধূমপান করা হলে রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো বিষয় নেই।এ বিষয়ে ঢাবির অধ্যাপক বলেন, ‘ধূমপান শুধু রোজা থাকা অবস্থায় না, রোজা ছাড়াও হারাম। মাদকদ্রব্য অন্যের ক্ষতি করে না, এটি শুধু সেবনকারীর ক্ষতি করে। তারপরও মাদকদ্রব্য হারাম।’