চ্যাটজিপিটি বা জেমিনির মাধ্যমে সহজে তৈরি করা যায় প্রোগ্রামিং কোড। তবে পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার এভাবে তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। একটি একটি করে ফাংশন-এর জন্য আলাদা করে কোড তৈরি করে সেগুলো সমন্বয় করার জন্যও প্রোগ্রামিংয়ের বিশদ জ্ঞান প্রয়োজন। প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার তৈরির বিষয়ে যাদের জ্ঞান একেবারেই কম তবে ইন্টারফেস ডিজাইন এবং কী ফিচার থাকবে সে বিষয়ে যথেষ্ট পরিষ্কার ধারণা আছে, এমন নির্মাতারাও এখন পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরি করছে এআইয়ের মাধ্যমে।এর নামই ‘ভাইব কোডিং’।
টেসলার সাবেক এআই ইঞ্জিনিয়ার এবং ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি-এ নামকরণ করেন। এ কাজে ব্যবহৃত টুলস একেবারেই আলাদা। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম এ বিষয়টি ভাইরাল হতে শুরু করে।২ ফেব্রুয়ারি আন্দ্রেজ কারপাথি এক্সে লিখেছিলেন, ‘কেমন সফটওয়্যার আর ফিচার চাই, এআইকে চলিত ভাষায় তা বুঝিয়ে দিলেই কোড হাজির। পুরো সফটওয়্যার তৈরি করেছি এক লাইন কোড নিজে না লিখে। আমি এর নাম দিয়েছি ভাইব কোডিং।’সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ থেকে সাহিত্যিক—সবাই এখন প্রযুক্তি ব্যবহারে একপ্রকার বাধ্য। স্মার্ট ডিভাইস তথা ‘ইন্টারনেট অব থিংস’-এর জনপ্রিয়তা প্রযুক্তিকে নিয়ে গেছে তৃণমূল পর্যায়ে। পানির পাম্প, লাইট, ফ্যান থেকে দরজার তালাও এখন প্রোগ্রাম করা যায়, নিজের প্রয়োজনে করতেও হয়। অনলাইনে নিজের কাজ বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরিও জরুরি হয়ে পড়েছে।