
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টায় পৌর শহরের চণ্ডিবের পাগলা বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ও এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আপেল মোল্লা (২৫), সানি (১৯), শরিফ আহমেদ (৩০), শাওন (১৮), আরিয়ান (১৮), হাবিবুর রহমান (২০), নাসিমা বেগম (৩৩), আরাফাত (২০), সায়েম (১৭), দিদার
(২৫), সিফাত মোল্লা (২২), শাহাদাত হোসেন (১৬), সুজন (৩২), মেরাজ (২২), হাসান (২০), রাতুল (১৭) ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আপেল মোল্লা, সানি, শাওন ও শরিফ আহমেদকে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পাগলা বাড়ির মিলন মিয়ার ছেলে সাদির ও তার বন্ধুদের সঙ্গে মোল্লা বাড়ির মস্তু মিয়ার ভাতিজার রাহাতের পাওনা টাকা নিয়ে রাত ৯টায় বাকবিতণ্ডা হয়।
খবর পেয়ে মিলন ও মোশাররফ মোল্লা ঘটনাস্থলে আসে। পরে বাকবিতণ্ডার মীমাংসার সময় দু’পক্ষের মধ্যে উচ্চ-বাচ্চ্য হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করলে সবাই যার যার বাড়িতে চলে আসে। পরে রাত ১০টায় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল, দা, বল্লম, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত হয়। এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেনা সদস্যদের সহায়তায় পুলিশসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।