
সাভারে অবস্থিত উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১ বাংলাদেশ বেতার এর অফিসে পুরাতন মালামাল
বিক্রয়ের জন্য আহ্বানকৃত টেন্ডার জমা দানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার
ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় একটি গ্রুপে টেন্ডার বক্স ভেঙে জমাকৃত শিডিউল ছিনিয়ে
নিয়ে গেছে। তবে বক্স ভেঙে শিডিউল ছিনতাইকারীদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল দুপুরে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ শক্তি
প্রেরণ কেন্দ্র-১ এর প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, রোববার সকালে
বাংলাদেশ বেতারের উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১ এর প্রশাসনিক ভবনে পূর্বনির্ধারিত সময়
অনুযায়ী পুরাতন মালামাল ক্রয় সংক্রান্ত ট্রেন্ডার ড্রপের সময় শিডিউল ক্রয়কারী ব্যক্তিদের
মধ্যে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা প্রদান করলে দুই পক্ষের মধ্যে
বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয় একটি গ্রুপ টেন্ডার জমা দেয়ার বক্স
ভেঙে ভেতরে থাকা ৬-৭টি শিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। শিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার
সময় তারা প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলী মো. মঈনউল হকের কক্ষে প্রবেশ করে এবং
বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সাভার ঢাকার আবাসিক প্রকৌশলী মো.
মঈনউল হক বলেন, রোববার সকালে বাংলাদেশ বেতারের উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১ এর
কিছু পুরাতন মালামাল (ট্রান্সমিটার, কপার তার, স্টিল, লোহা, তামা জাতীয় নষ্ট মেশিনারিজ)
অকশনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। এজন্য ১লা ডিসেম্বর ২০২৪
থেকে ১৯শে জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ১১টা পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং দাখিলের সময় দেয়া
হয়েছিল। ইতিমধ্যে টেন্ডার ড্রপের জন্য প্রায় ২০০টি শিডিউল বিক্রয় করা হয়েছিল। সেসব
শিডিউল জমা দেয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনায় এক পক্ষ
টেন্ডার বক্স ভেঙে শিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু তারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় আমি
কোনো বাধা প্রদান কিংবা কিছু বলতে পারিনি। এ ঘটনায় আহ্বানকৃত টেন্ডারটি বাতিল করে
রি-টেন্ডার আহ্বানের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সাভার
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও বাংলাদেশ বেতার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মিরাজুল
ইসলাম বলেন, সকালে আমি প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটকে দায়িত্বে ছিলাম। টেন্ডার জমাদানকে
কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। একটি পক্ষ প্রতিষ্ঠান
প্রধানের কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে এবং টেন্ডার বক্স ভেঙে শিডিউল নিয়ে
চলে গেছে বলে জানতে পারি। যদি এ ঘটনায় বেতার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে তাহলে
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।